logo

FX.co ★ GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। প্রায় সমস্ত হায়ার টাইমফ্রেমে স্পষ্টতই এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, আমরা এখনও 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল এবং অনিয়মিত মুভমেন্ট পর্যবেক্ষণ করছি। উদাহরণস্বরূপ, বুধবার, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ছিল প্রায় 60 পিপ। দিনটা বেশ প্রতিশ্রুতির সাথে শুরু হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য শুধুমাত্র একটি দিকে গিয়েছিল, অবিকল 60 পিপস, কিন্তু এই মুভমেন্ট হঠাত শুরু হয়েছে, যা এটিকে ট্রেডের জন্য বেশ সমস্যাযুক্ত করে তুলেছে।

দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, এই পেয়ারের মূল্য উভয় দিকেই মুভমেন্ট শুরু করে, যদিও খুব কম সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ছিল। সাধারণভাবে, আমরা শুধুমাত্র মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি, যা মার্কিন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যাইহোক, গতকাল আমরা অনেকগুলো রিভার্সাল দেখেছি, যা এটিকে ট্রেড করা বেশ চ্যালেঞ্জিং করে তুলেছে। ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করা হয়েছে, তাই আমরা পাউন্ড আরও দরপতনের আশা করতে পারি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৯ ফেব্রুয়ারি: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

1.2648 লেভেলের আশেপাশে 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে প্রচুর সংখ্যক সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল এবং সেগুলির সবকটিই ফলস সিগন্যাল ছিল। এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা এবং ক্রমাগত রিভার্সাল হওয়ার কারণে মূল্য নিকটতম লেভেলগুলোর মধ্যে কোনটিতে পৌঁছাতে পারেনি। অতএব, নতুন ট্রেডাররা উপরের চার্টে চিহ্নিত প্রথম দুটি সিগন্যাল কার্যকর করার চেষ্টা করতে পারে। প্রথম ট্রেড খুব দ্রুত সামান্য ক্ষতির সাথে ক্লোজ হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ট্রেডটি স্টপ লস সহ ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেল ছেড়ে চলে গেছে এবং নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার জন্য মরিয়া চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি ভালো যাচ্ছে না। আমরা পাউন্ডের দরপতনের আশা করছি, কিন্তু বাজারের ট্রেডাররা একটি বিশৃঙ্খল এবং অযৌক্তিক পদ্ধতিতে এই পেয়ারের ট্রেড চালিয়ে যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ব্যাহত হয়েছে, তাই আমরা একটি নতুন স্বল্প-মেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতার আশা করতে পারি, কিন্তু বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা যা বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া উস্কে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। যাইহোক, এই সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য ইভেন্টের ঘাটতি রয়েছে, তাই এমনকি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account