সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে, তবে সেগুলোর মধ্যে অল্প কয়েকটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা যায়। আমাদের মতে, আজকের আলোচ্যসূচির মূল বিষয় হল যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক প্রতিবেদনসমূহ, যা সকালে প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যে চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন এবং শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এটি যুক্তরাজ্যের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির প্রথম অনুমান হবে, তাই এটির ফলাফল পূর্বাভাসের (-0.1%) তুলনায় ভিন্ন হতে পারে। সাধারণভাবে, এই মুহূর্তে ব্রিটিশ অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতির আশা করা অত্যন্ত কঠিন, তাই আমরা মনে করি না যে ব্রিটিশ পাউন্ড এই প্রতিবেদন থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে উপকৃত হবে। শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে, বাজারের ট্রেডাররা ডিসেম্বরে প্রতিবেদনে 0.2-0.4% হ্রাস পাওয়ার আশা করছেন। আবারও বলতে হয়, এই প্রতিবেদন থেকেও ইতিবাচক কিছু আশা করা কঠিন হবে।
ইইউতে আজ তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। বাস্তবিক অর্থ্যে, খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন বাজারে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, কিন্তু বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম। একই কথা মার্কিন শিল্প উৎপাদন এবং প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমসের প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমরা মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে উভয় পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করতে পারি। যাইহোক, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা প্রদর্শন অব্যাহত থাকবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে। এই সপ্তাহে, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিনই বক্তৃতা দিয়েছেন, তবে খুব বেশি উল্লেখযোগ্য বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তাই সেগুলোর প্রতি বাজারের ট্রেডাররা খুব কমই মনোযোগ দিয়েছে। মৌলিক প্রেক্ষাপটও একইরকম রয়েছে। যাইহোক, আজ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড বক্তৃতা দেবেন, এবং এটি সর্বদা আকর্ষণীয় এবং বাজারের ট্রেডারদের মনোযোগ আকর্ষণ করে থাকে।
উপসংহার:
বৃহস্পতিবার, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের মুভমেন্ট যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে। যদি প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক হয়, তাহলে পাউন্ডের মূল্য আরও কমতে পারে, যা বেশ যৌক্তিক হবে। যাইহোক, একই সময়ে, যদি চতুর্থ প্রান্তিকে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস না পায়, তবে এটি ব্রিটিশ মুদ্রাকে সমর্থন করতে পারে এবং এটি গত দুই দিনের পাউন্ডের দরপতন পুষিয়ে নিতে পারে। আমরা লাগার্ডের বক্তৃতার প্রতি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।