সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:
বুধবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে, তবে এগুলোর মধ্যে অল্প কয়েকটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। যুক্তরাজ্যে জানুয়ারি মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং এটি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের মতো বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক 4.1-4.2% এ ত্বরান্বিত হবে। যদি প্রতিবেদনটির ফলাফল পূর্বাভাস অতিক্রম করে, তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য তীব্রভাবে শক্তিশালী হতে পারে, কারণ এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড দীর্ঘ সময়ের জন্য সুদের হার সর্বোচ্চ স্তরে বজায় রাখবে। যদি প্রকৃত ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কম হয়, তাহলে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ এর ফলে বাজারের ট্রেডাররা ধারণা করবে যে প্রত্যাশিত সময়ের আগেই ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমানো শুরু করবে।
ট্রেডাররা ইউরোজোনের চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমানটিও হাতে পেতে পারে, তবে আমাদের এই প্রতিবেদন থেকে খুব বেশি আশা করা উচিত নয়। সম্ভবত, সূচকটির মান 0% এর স্তরে থাকবে, যা আমরা চার গত প্রান্তিক ধরে পর্যবেক্ষণ করছি (এই স্তরের আশেপাশেই ছিল)। শিল্প উৎপাদন হ্রাস পেতে পারে, যা আশ্চর্যজনক নয়। বুধবার ইউরো কোন প্রতিবেদন থেকে সমর্থন পাবে এমনটি আশা করা কঠিন হবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:
বুধবার কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে। ফেডারেল রিজার্ভ এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিনিধিরা প্রায় প্রতিদিন বক্তৃতা দিয়েছেন, কিন্তু তারা নতুন তথ্য প্রদান করবেন না। বাজারের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে যা জানে তারা কেবল তারই পুনরাবৃত্তি করতে পারে। এই সপ্তাহে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে, এবং প্রতিবারই বাজারে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
উপসংহার:
বুধবার, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের উপর ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্যের মুভমেন্ট নির্ভর করবে। আমরা ইতোমধ্যেই উল্লেখ করেছি, পূর্বাভাস থেকে ফলাফলের যেকোনো বিচ্যুতি GBP/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট ঘটাতে সক্ষম। এবং GBP/USD পেয়ারটিও EUR/USD পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম। অতএব, উভয় পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের জন্য প্রস্তুত থাকুন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট থাকবে না এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে শুধুমাত্র স্বল্প গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। ইউরোর মূল্য আরও কমতে পারে, তবে সম্ভবত এটি সংক্ষিপ্ত বিরতির পরে ঘটবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।