বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
GBP/USD পেয়ারের মূল্য বুধবার 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যেই ছিল, যা খুব একটা আশ্চর্যজনক নয়। যদিও দিনের বেলায় ব্রিটিশ মুদ্রার দর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছিল, তবুও এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট রেঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার জন্য এটি যথেষ্ট ছিল না। মার্কিন এডিপি রিপোর্টের পরে এই পেয়ারের মূল্য বেড়েছে।দেশটির বেসরকারি খাতে প্রত্যাশার চেয়ে কম কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি, FOMC বা ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির বৈঠকের ফলাফল এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা বুধবার ঘোষণা করা হবে, যা সর্বদা আকর্ষণীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। পাওয়েল সুনির্দিষ্টভাবে কি বলে তা বিবেচ্য নয়; বুধবার এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা বাড়বে (বা উচ্চ থাকবে)। অবশ্যই, যদি পাওয়েল হকিশ বা কঠোর অবস্থান নেয়, ডলার দ্রুত দিনের সমস্ত ক্ষতি পূরণ করতে পারে। যদি পাওয়েল ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান নেয়, তাহলে ডলার আরও দরপতন হতে পারে, কিন্তু এটি এই পেয়ারের মূল্যের 1.2611-1.2787 রেঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট বেশ বিশৃঙ্খল ছিল, তবে এবার এগুলোর পিছনে কিছু যৌক্তিকতা ছিল। মার্কিন এডিপি রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার আগে পাউন্ডের মূল্য 1.2688 লেভেল থেকে বাউন্স করে সাইডওয়েজ ট্রেড করেছে। উভয় ক্ষেত্রেই মূল্য 20 পিপস কমতে ব্যর্থ হয়েছে, তাই ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা যায়নি। যখন একটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়, তখন শর্ট পজিশন ক্লোজ করা হয় এবং লং পজিশন ওপেন করা হয়, যার ফলে বেশ ভালই মুনাফা হয়েছে। এখন, FOMC-এর বৈঠকের পরে আরও শক্তিশালী বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে, লং পজিশন ক্লোজ করার বা ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
এক ঘন্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ার এখনও 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড করছে। বুধ, বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট শক্তিশালী, তবে এখনও পর্যন্ত, দেড় মাসে ধরে তৈরি হওয়া ফ্ল্যাট রেঞ্জ থেকে এই পেয়ারের মূল্যকে টেনে আনার জন্য যথেষ্ট নয়।
সম্ভবত FOMC এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেড করা হবে। এই পেয়ারের মূল্যের বিশৃঙ্খল, অস্থির এবং ঘন ঘন বিপরীতমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। বৃহস্পতিবার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ফলাফলের দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত হবে। এটি দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হতে যাচ্ছে, যা বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এটি ছাড়াও, FOMC বৈঠকের ফলাফলের প্রভাব ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে পড়তে পারে, কারণ বুধবারের ইউরোপীয় সেশনে সেগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানোর সময় ছিল না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে, সাপ্তাহিক প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস এবং গুরুত্বপূর্ণ আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।