logo

FX.co ★ সার্বিক পরিস্থিতি: পশ্চিমের মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রাচ্যের আর্থিক খবর

সার্বিক পরিস্থিতি: পশ্চিমের মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রাচ্যের আর্থিক খবর

 সার্বিক পরিস্থিতি: পশ্চিমের মুদ্রাস্ফীতি এবং প্রাচ্যের আর্থিক খবর

বিশেষজ্ঞরা এই শুক্রবার মার্কিন পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) সূচক প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম (Fed) গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।

এই প্রতিবেদনের ফলাফল বছরের বাকি অংশের জন্য ভবিষ্যত সুদের হার সংক্রান্ত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ফেডের বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী এবং মুদ্রাস্ফীতির পতনের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশকারী কর্মকর্তাদের নিঃশব্দ মন্তব্যের ভিত্তিতে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে সুদের হার বৃদ্ধির প্রত্যাশা সমন্বয় করেছে।

এই মাসের শুরুর দিকে, পৃথক প্রতিবেদনে ভোক্তা মূল্যের সূচকের মাঝারি বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছিল, যা পূর্বাভাসের তুলনায় কম ছিল। এটি টানা কয়েক মাস উচ্চ মূল্যস্ফীতির পর এই বছর সম্ভাব্য সুদের হার কমার ব্যাপারে আশা জাগিয়েছিল।

ফেডের সাম্প্রতিক বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণীতে এটি নিশ্চিত হওয়া গেছে যে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মূল্যস্ফীতির চাপ কমার আশা করছে, যদিও তারা সতর্ক করেছে যে নতুন যেকোন অর্থনৈতিক উদ্যোগ নেওয়ার আগে মূল্যস্ফীতি 2% এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে নেমে আসছে তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে।

এই সপ্তাহে, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভ থেকে মিশেল বোম্যান, ক্লিভল্যান্ড ফেড থেকে লরেটা মেস্টার, লিসা কুক, নিউ ইয়র্ক ফেড থেকে জন উইলিয়ামস এবং আটলান্টা ফেড থেকে রাফেল বস্টিক সহ ফেডারেল রিজার্ভের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছ থেকে ধারাবাহিক বক্তৃতার আশা করছে। .এই ইভেন্টগুলো বিনিয়োগকারীদের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে।

এছাড়াও বৃহস্পতিবারে প্রথম প্রান্তিকের মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হালনাগাদ অনুমান প্রকাশিত হবে, সেইসাথে বুধবার ফেডারেল রিজার্ভের বেইজ বুক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। এই প্রতিবেদনগুলো দেশটির সামগ্রিক অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে অতিরিক্ত অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে, যা ভবিষ্যতের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে।

আসন্ন জুনের সভায়, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ECB) বর্তমান রেকর্ড 4% থেকে সুদের হার কমানোর পদক্ষেপ নিতে পারে। যাইহোক, সুদের হার কমানোর গতি সম্পর্কিত প্রশ্ন উন্মুক্ত রয়ে গেছে, বিশেষত শুক্রবার আসন্ন ইউরোজোন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, যা ক্রমাগত মূল্যস্ফীতির চাপকে নির্দেশ করতে পারে।

ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি এপ্রিলে 2.4% থেকে মে মাসে বার্ষিক ভিত্তিতে 2.5% এ পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে মূল মুদ্রাস্ফীতি 2.7% থাকবে। এটি জুনে ইসিবিকে সুদের হার কমাতে বাধা দেবে না, যদিও ব্যাংকটির কিছু কর্মকর্তা আর্থিক নীতিমালা আরও নমনীয় করার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।

পরের সপ্তাহে ইউরোজোনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে সোমবার জার্মানিতে IFO বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্স এবং মঙ্গলবার মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশা সংক্রান্ত ইসিবি-র সমীক্ষা প্রকাশিত হবে।

মার্কেটের ট্রেডারদের মনোযোগ টোকিওতে প্রকাশিতব্য আসন্ন মুদ্রাস্ফীতির তথ্যের উপর নিবদ্ধ, যা এই শুক্রবার প্রকাশিত হবে। বিশ্লেষক এবং বিনিয়োগকারীরা ব্যাংক অফ জাপানের মুদ্রানীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তনের পূর্বাভাস দেওয়ার প্রয়াসে এই তথ্য বিশ্লেষণ করছেন, বিশেষ করে পরবর্তী সুদের হার বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে।

এই প্রতিবেদনটি ব্যাঙ্ক অফ জাপানের সভার দুই সপ্তাহ আগে প্রকাশ করা হবে, যেখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, মার্চ মাসে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের পরে দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার বৃদ্ধি করা হতে পারে। ইয়েন ক্রমাগত দুর্বল হয়ে যাওয়ায়, আমদানিকৃত পণ্যের খরচ বেড়েছে এবং ভোক্তাদের চাহিদার উপর চাপ বাড়ায় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রমবর্ধমানভাবে চাপের মধ্যে রয়েছে।

এছাড়াও এই শুক্রবার, জাপানের অর্থ মন্ত্রণালয় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে সর্বশেষ হস্তক্ষেপ এবং ব্যাংক অফ জাপানের বন্ড ক্রয়ের সময়সূচীতে পরিবর্তনের তথ্য উপস্থাপন করবে। বিনিয়োগকারীরা দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দ্বারা বন্ড ক্রয়ের সম্ভাব্য হ্রাসের বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।

সোমবার সপ্তাহের শুরুতে, চীন গত বছরের শিল্প মুনাফার তথ্য প্রকাশ করবে, বিশ্লেষক এবং বিনিয়োগকারীরা মার্চের বড় পতনের পর এপ্রিলের কর্মক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে কিনা তা মূল্যায়ন করার সুযোগ পাবে। প্রথম প্রান্তিকের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উপর এই সূচকের পতন বেশ চাপ প্রয়োগ করেছে, যা 4.3% এ নেমে এসেছে।

উৎপাদন এবং অ-উৎপাদন খাতের জন্য অফিসিয়াল PMI প্রতিবেদন শুক্রবার প্রকাশিত হবে। অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছেন যে মে মাসে তৃতীয়বারের মতো উৎপাদন পিএমআই 50-এর গুরুত্বপূর্ণ স্তর অতিক্রম করবে, যা উৎপাদন খাতে প্রবৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

বেইজিং এই বছর প্রায় 5% অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যনাত্রা নির্ধারণ করেছে, তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন যে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে। রিয়েল এস্টেট খাতের ক্রমাগত সংকট এবং দুর্বল ভোক্তা চাহিদা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শুক্রবার তেলের দাম 1% বেড়েছে, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বর্ধিত সময়ের জন্য সুদের হার উচ্চ রাখতে পারে, যা জ্বালানির চাহিদার উপর চাপ বাড়াবে এমন প্রত্যাশায় সপ্তাহটি শেষ হয়েছে।

এ সপ্তাহে ব্রেন্টের দাম 2.1% কমেছে, যা জানুয়ারীর শুরুর পর থেকে একটানা সবচেয়ে বেশি দরপতনের শিকার হয়েছে। US WTI-এর দর সাপ্তাহিত ভিত্তিতে 2.8% কমেছে।

উচ্চ সুদের হার ক্রমবর্ধমানভাবে ঋণের উচ্চ ব্যয়ের দিকে পরিচালিত করে, যা অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে সীমিত করতে পারে এবং তেলের চাহিদা কমাতে পারে। তবে, মর্গ্যান স্ট্যানলি বিশ্লেষকদের মতে, সামগ্রিকভাবে তেলের চাহিদা বেশি রয়েছে।

তারা অনুমান করে যে এই বছর তরল পেট্রোলিয়াম পণ্যের বিশ্বব্যাপী ব্যবহার প্রতিদিন প্রায় 1.5 মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পাবে।

বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেট্রলের দুর্বল চাহিদা বিশ্বব্যাপী চাহিদা বৃদ্ধির দ্বারা পুষিয়ে নেওয়া হচজে, বিশেষ করে বছরের শুরুতে এটি পরিলক্ষিত হয়েছে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account