FX.co ★ 10 জুলাই কোন ঘটনাগুলো বাজার পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ঘটনাবলীর পর্যালোচনা

আর্থসামষ্টিক প্রতিবেদনের পর্যালোচনা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি বা যুক্তরাজ্যে 10 জুলাই সোমবারের জন্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের পরিকল্পনা করা হয়নি। এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে, আমরা অনুমান করতে পারি যে আমরা একটি বিরক্তিকর, স্বল্প-অস্থিরতা সম্পন্ন এবং সংশোধনমূলক সোমবার দেখতে পাব। মনে রাখবেন যে গত সপ্তাহে, ইউরোর মূল্য যতটুকু বেড়েছে তার চেয়ে বেশি কমেছে, এবং শুধুমাত্র শুক্রবারে এটি বেশ পরস্পরবিরোধী নন-ফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। এই মুহূর্তে, ইউরোর মূল্য বাড়ার আর কোন কারণ নেই। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের তুলনায়, এটি আরও যুক্তিযুক্তভাবে ট্রেড করা হচ্ছে। তবে ব্রিটিশ মুদ্রার ক্ষেত্রে সোমবারও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের আশা করা যায়।

মৌলিক ঘটনাবলীর পর্যালোচনা

সোমবার বেশ কিছু মৌলিক অনুষ্ঠান থাকবে। কম গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলো দিয়ে শুরু করা যাক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেড প্রতিনিধি মেরি ডালি, লরেটা মেস্টার এবং রাফেল বস্টিক বক্তব্য রাখবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে এই বক্তব্যকে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাৎপর্যপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা যায় না, কারণ গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমরা অসংখ্য বক্তৃতা দেখেছি এবং বাজারের ট্রেডারদের কাছে এখন ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের পরবর্তী পদক্ষেপগুলো নিয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা রয়েছে।

তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের চেয়ারম্যান অ্যান্ড্রু বেইলির ক্ষেত্রে পরিস্থিতি ভিন্ন। তিনি খুব কমই কথা বলেন এবং এমনকি কমই গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দেন। যদিও ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার ইতোমধ্যেই 5%-এ বেড়েছে, বাজারের ট্রেডাররা এখনও বুঝতে পারছে না যে এটি সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবেলার জন্য কি হিসাব কষছে৷ তারা এটা বুঝতে পারছে না এবং শুধুমাত্র পাউন্ড কিনে যাচ্ছে, কারণ যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি খুব বেশি থাকে। অতএব, দিনের সম্ভাব্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনূষ্ঠান হল অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা, এবং পাউন্ডের মূল্যে বেশ শক্তিশালী অস্থিরতা দেখা যেতে পারে।

উপসংহার

কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি নেই, কিন্তু মৌলিক ঘটনা আছে. আমরা আপনাকে বেইলির বক্তৃতায় প্রাথমিকভাবে মনোযোগ দিতে এবং এই সময়ে পাউন্ডের ট্রেডিংয়ের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিই, কারণ মূল্যের তীক্ষ্ণ বিপরীতমুখী যাত্রা এবং বর্ধিত অস্থিরতার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের সাধারণ নীতিমালা:

1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় ( রিবাউন্ড বা স্তরের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট স্তরের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্য স্তরে পৌছায়নি), তাহলে এই স্তরে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট ট্রেডিংয়ের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং ঘন্টার মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি স্তর একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তর হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তরগুলো হল সেই স্তর যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই স্তরগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুনদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।