logo

FX.co ★ EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিকল্পনা, (২ জুন, ২০২২)

EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিকল্পনা, (২ জুন, ২০২২)

২০০৮ সালের সংকট ফেডারেল রিজার্ভকে তথাকথিত কোয়ান্টিটিভ ইজিং প্রোগ্রামের প্রবর্তন সহ জরুরী ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করেছিল। এর সারমর্ম হলো বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিজ, প্রাইমারি বন্ড, ইত্যাদি ফেরতযোগ্য শর্তে বাধ্যতামূলক ক্রয়। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা অর্থনীতিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলেছে। একই সময়ে, সম্পদ পুনঃক্রয়ের শর্তাবলী প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। এবং যখন কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়েছিল, মূলত তা অনুরূপ নতুন চুক্তি প্রবর্তনের মাধ্যমে বাড়ানো হয়েছিল।

ফলস্বরূপ, ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমের ব্যালেন্স শীটে প্রচুর সিকিউরিটি জমা হয়, এবং যেগুলো খুব একটা ভালো মানের নয়। সর্বোপরি, ২০০৮ সালের ঘটনাবলী দেখিয়েছে যে সিকিউরিটিজ, বিশেষ করে বন্ডের অনেক ইস্যুকারী মূলত দেউলিয়া। কিন্তু সেই মুহুর্তে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল। তাই ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম সেইসব সিকিউরিটিজের জন্য, সাধারণত যা "আবর্জনা" বলে অভিহিত হয়, নিরাপত্তার জন্য অর্থায়ন প্রদান করতেও প্রস্তুত ছিল। সবকিছুই করা হয়েছিল অর্থনীতি বাঁচাতে । কিন্তু ব্যাংকিং ব্যবস্থার আর্থিক অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার পর, নিয়ন্ত্রকের উচিত বিপরীত প্রক্রিয়া শুরু করা। অর্থাৎ, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম থেকে পূর্বে বিক্রিত কাগজপত্র পুণঃক্রয় করে অর্থনীতিতে বিনিয়োগকৃত তহবিল ফেরত দেয়।

এটি যে অনিবার্য তা ২০০৯ সালেই আবার বোঝা গিয়েছিল৷ কিন্তু কখন তা ঘটবে তা সঠিকভাবে কেউ জানত না৷ প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, মাত্র বছর দুয়েক পর প্রথম কার্যক্রম শুরু হবে। এরপর দশ বছরেরও বেশি সময় কেটে গেছে। আর সেই ঘটনা ঘটেছে শুধুমাত্র গতকাল।

ফেডারেল রিজার্ভ পরিমাণগত কঠোরকরণ শুরু করেছে। তিন মাসের মধ্যে, বাইব্যাকের পরিমাণ প্রতি মাসে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে এবং শেষ পর্যন্ত ৯৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বছরের পর বছর ধরে আর্থিক খাতে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ঢালার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, এই পদক্ষেপ বিশাল সমুদ্র থেক একটি বিন্দু জল তুলে নেয়ার সমান। সুতরাং প্রোগ্রাম বছরের পর বশর চলবে। তা সত্ত্বেও, তহবিল প্রবাহের বিপরীতমুখী ঘটনা অবিলম্বে ডলারের ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় শক্তিশালীকরণ এবং স্টক সূচকে হ্রাসের দিকে পরিচালিত করে। সর্বোপরি, কোয়ান্টিটিভ ইজিং প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রাপ্ত তহবিল সব ধরণের আর্থিক বাজার বিশেষ করে শেয়ারবাজারে পরিচালিত হয়েছিল। এবং তা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নয়, বরং সারা বিশ্বে।

আমেরিকান ব্যাংকগুলো তাদের পজিশন একসাথে বিক্রি করতে এবং প্রয়োজনীয় তহবিল জোগাড় করতে শুরু করেছে, যা তাদের এখন ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেমে ফেরত দিতে হবে। এটি এমন একটি বৃহৎ আকারের এবং এমনকি যুগ-নির্মাণকারী ঘটনা যে এর পটভূমিতে অন্য সব খবর বিবর্ণ হয়ে গেছে। তাই এখন কোনো ধরনের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান বিবেচনা করে কোন লাভ নেই।

তবে প্রাথমিক ধাক্কা আগেই কেটে গেছে। অবশ্যই, পরিমাণগত কঠোরকরণ কর্মসূচির প্রক্রিয়াটি ব্যতিক্রম ছাড়াই সমস্ত আর্থিক বাজারের উপর স্থায়ীভাবে চাপ সৃষ্টি করবে। সুতরাং, ডলার বরং অবমূল্যায়নের চেয়ে আরও শক্তিশালী হবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান শুধুমাত্র এই প্রক্রিয়ার গতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এবং স্পষ্টতই, একক ইউরোপীয় মুদ্রা কেবল পরিসংখ্যানের ফলে তার অবস্থান হারাতে থাকবে। আসল বিষয়টি হলো যে উৎপাদক মূল্য বৃদ্ধির হার ৩৬.৮% থেকে ৩৯.০% পর্যন্ত ত্বরান্বিত হতে পারে। অন্য কথায়, মুদ্রাস্ফীতির চাপ বাড়তে থাকবে। যদিও ইউরোপে মুদ্রাস্ফীতি ইতিমধ্যেই রেকর্ড উচ্চতায় রয়েছে।

উৎপাদক মূল্য সূচক (ইউরোপ):

EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিকল্পনা, (২ জুন, ২০২২)

তবে ডলার শক্তিশালীকরণ গতকালের মতো চিত্তাকর্ষক হবে না। এটা আমেরিকান পরিসংখ্যানের কারণে অবরুদ্ধ থাকবে। এটা খুবই সম্ভব যে এটি আমেরিকান সেশন শুরু হওয়ার পরে সামান্য দুর্বলতার দিকে নিয়ে যাবে। সর্বোপরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের পরিসংখ্যান আজ প্রকাশিত হবে। কর্মসংস্থান ২০৫,০০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি হওয়া উচিত, যা গত মাসে ২৪৭,০০০ চেয়ে কম ছিল। আমরা শ্রমবাজারে ইতিবাচক গতিশীলতার হ্রাসের কথা উল্লেখ করছি, যা একটি নেতিবাচক ফ্যাক্টরের মতো দেখায়।

কর্মসংস্থান পরিবর্তন (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র):

EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিকল্পনা, (২ জুন, ২০২২)

EURUSD কারেন্সি পেয়ার একটি তীব্র নিম্নগামী চক্রের সময় 1.0636 স্তরে ফিরে এসেছে, যা সংশোধনের সম্পূর্ণতা নির্দেশ করে। এই মুহুর্তে, একটি সামান্য পুলব্যাক রয়েছে, কিন্তু নিম্নগামী মুভমেন্টকেই প্রধান হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সুতরাং, মূল্য 1.0636 স্তরের নিচে থাকলে পরবর্তীতে শর্ট পজিশনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিকল্পনা, (২ জুন, ২০২২)

GBP/USD কারেন্সি পেয়ার ১০০ পয়েন্টের বেশি নেমে এসেছে, এবং এই পতনের সাথে অবশেষে 1.2500 স্তর ব্রেক করেছে। প্রকৃতপক্ষে, সংশোধন সম্পূর্ণ হওয়ার বিষয়ে একটি সংকেত পাওয়া গিয়েছিল, যেখানে ডলারের পজিশনগুলোকে আবার বাজারে প্রধান হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

EUR/USD এবং GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং পরিকল্পনা, (২ জুন, ২০২২)

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account