logo

FX.co ★ রুশ-ইউক্রেনীয় সংঘর্ষের ২০তম দিন

রুশ-ইউক্রেনীয় সংঘর্ষের ২০তম দিন

রুশ-ইউক্রেনীয় সংঘর্ষের ২০তম দিন

সোমবার মার্কিন পুঁজিবাজারের প্রধান সূচকসমূহ যেমন ডাও জোন্স, নাসডাক এবং S&P 500 সূচক নতুন করে পতন প্রদর্শন করেছে এবং স্থানীয় নিম্নস্তরের কাছাকাছি ট্রেডিং করছে। আমাদের ধারণা মতে বাজারের এখন শান্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মার্কিন পুঁজিবাজার শুধুমাত্র নিচের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির বাজার স্থির হয়ে আছে, কিন্তু যে কোনো সময় আবারও পতন শুরু হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সির ঝুঁকিপূর্ণ বাজার ডলারের বিপরীতে এখনও অনেক নিম্নস্তরে রয়েছে। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমস্ত শক্তি দিয়ে রাশিয়ান রুবলের নতুন পতন আটকে রেখেছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখনও পর্যন্ত সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি এবং শান্তি আলোচনায় অগ্রগতির কোনও ইতিবাচক খবর নেই।

গতকাল রাতে খারকিভ এবং কিয়েভে নতুন করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে। দিনে কয়েকবার বিমান হামলার সতর্কবার্তা দেয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে, পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর। তবুও, পশ্চিমা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানাচ্ছে যে চলমান সামরিক সংঘাত 10-14 দিনের মধ্যে শেষ হতে পারে। কিছু পশ্চিমা জেনারেল এবং রাজনীতিবিদদের মতে, মস্কো এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্থান নেই। বর্তমানে, মস্কো সিরিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদের সামরিক অভিযানে জড়িত করার চেষ্টা করছে এবং চীনের কাছে সাহায্যের অনুরোধ করেছে। তবে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা সর্বাধিক কয়েকশ হতে অয়ারে। চীন এখনো সংঘাতে জড়ানোর কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। রাশিয়া কিয়েভের উপর চাপ বাড়াতে পারে এমন সম্ভাবনা নেই। একই সময়ে, এই অবস্থার অর্থ এই নয় যে 10 দিনের মধ্যে আবারও সেখানে রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েন করা হবে। বরং আমরা স্থায়ী দ্বন্দ্বের কথা বলছি। যদি তাই হয়, আমরা কয়েক মাস বা এমনকি কয়েক বছর জুড়ে এই দ্বন্দ্ব দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, বিশ্ব অর্থনীতি এবং কয়েকটি দেশের অর্থনীতির জন্য, এই পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারের জন্য সহায়ক হবে না। ইতিমধ্যে, পশ্চিমা দেশগুলি সক্রিয়ভাবে ইউক্রেনে অস্ত্র ও অর্থ সরবরাহ করছে, সেইসাথে রাশিয়া এবং রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এমনকি রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথাও বলা হচ্ছে না। যতক্ষণ না এই যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ হয়ে যায় এবং রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের ভূখণ্ড ছেড়ে না যায় ততক্ষণ নিষেধাজ্ঞাও চলমান থাকবে।

অতএব, অর্থবাজারসমূহে অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকবে। সুতরাং পুঁজিবাজার এবং কারেন্সি মার্কেট উভয় ক্ষেত্রেই আরও পতনের সম্ভাবনা রয়েছে। বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেনকে ইইউতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ইউক্রেনকে জোটনিরপেক্ষ অবস্থানে রাখতে চাওয়া ক্রেমলিন এই প্রস্তাবে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা বলা কঠিন। তবে, কিয়েভ এবং মস্কোর একে অপরের প্রতি দাবিগুলো আমূল আলাদা তা আর গোপন নয়। এ কারণে আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার কোনো সুযোগ নেই বললেই চলে।

* এখানে পোস্ট করা মার্কেট বিশ্লেষণ মানে আপনার সচেতনতা বৃদ্ধি করা, কিন্তু একটি ট্রেড করার নির্দেশনা প্রদান করা নয়
Go to the articles list Go to this author's articles Open trading account