কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন যে তারা চলতি সপ্তাহে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ করছেন।
কানাডা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে কট্টর সমর্থক দেশের মধ্যে অন্যতম। অন্যদিকে ইউরোপ তাদের তেলের চাহিদার এক চতুর্থাংশ এবং গ্যাসের চাহিদার প্রায় 40% রাশিয়া থেকে আমদানি করে। তাই রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে ইউরোপ বেশ দ্বিধাগ্রস্ততার মধ্যে ছিল।
আপাতত, রাশিয়ার আর্থিক খাত, বিদেশে আমানতকৃত রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নজরদারিতে রয়েছে।
যদিও তেল ও গ্যাসের উপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করা হয়নি, তবে বর্তমান নিষেধাজ্ঞা তেল ও গ্যাসের প্রবাহকে প্রভাবিত করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
বাস্তবিক অর্থে রয়টার্স ইতিমধ্যেই গতকাল জানিয়েছে যে মালয়েশিয়ায় অপরিশোধিত তেল বহনকারী একটি ট্যাঙ্কার নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, লিন্ডা ট্যাঙ্কারটি পিএসবি লিজিং, প্রমসভিয়াজব্যাংকের একটি বিভাগের মালিকানাধীন, যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অন্যতম লক্ষ্যবস্তু। কিন্তু ব্যাংকতি জানিয়েছে যে তারা এই জাহাজের মালিকানা আগেই ছেড়ে দিয়েছে। সপ্তাহান্তে ফরাসি কর্তৃপক্ষ আরেকটি জাহাজ আটক করেছিল। যদিও প্রমসভিয়াজব্যাংক জানিয়েছে যে এই জাহাজ তাদের সম্পত্তি নয়।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরে বর্তমানে রাশিয়ার তেলের ক্রেতাদের অর্থ প্রদানের মাধ্যম এবং তেল বহন করার জন্য ট্যাঙ্কার খুঁজে পেতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এই সকল বিষয় এই ইঙ্গিত দেয় যে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস রপ্তানিকে সরাসরি লক্ষ্যবস্তু না করেও, পশ্চিমা শক্তি রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের আন্তর্জাতিক প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ফলে তেলের উচ্চ মূল্যের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য রয়ে গেছে।
তেলের দাম বর্তমানে 2011-2013 সালের সর্বোচ্চ স্তরের কাছাকাছি রয়েছে:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিত্র দেশ তেলের উচ্চমূল্যের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় মজুদ থেকে তেল ছেড়ে দিতে পারে এমন ঘোষণার পরেও আজ তেলের দাম নিরবচ্ছিন্নভাবে বেড়েছে। এই দেশগুলো সম্প্রতি তেলের দামের উর্ধ্বগতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে স্থানীয় মজুদ থেকে 60 মিলিয়ন থেকে 70 মিলিয়ন ব্যারেল অপরিশোধিত তেল সমন্বিতভাবে বাজারে ছাড়ার বিষয়ে আলোচনা চালিয়েছে। মূলত ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় এরূপ সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে।