যখন MACD সূচকটি ইতোমধ্যে শূন্যের বেশ ওপরে উঠে গিয়েছিল, তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2947 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যার ফলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়েছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড কিনিনি।
শুক্রবার দিনের শেষে পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। তবে, প্রতিবার উল্লেখযোগ্য নিম্নমুখী মুভমেন্ট হলেই দ্রুত পাউন্ড কিনে ফেলা হচ্ছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতার সম্ভাবনা এখনো রয়ে গেছে, যদিও স্বল্পমেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা অনিশ্চিত এবং সেটা মূলত আজ যুক্তরাজ্যে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। ব্রিটিশ অর্থনীতির ভবিষ্যৎ প্রবণতা নিয়ে বিনিয়োগকারীরা এখনো সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন, বিশেষ করে ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ভবিষ্যতের মুদ্রানীতির বিষয়ে মিশ্র সংকেতের কারণে।
আজকের সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন — বিশেষ করে মার্চ মাসের জন্য যুক্তরাজ্যের উৎপাদন খাতের PMI, পরিষেবা খাতের PMI এবং কম্পোজিট PMI — গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এর মধ্যে উৎপাদন খাতের PMI বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি উচ্চ জ্বালানি মূল্যের প্রেক্ষাপটে শিল্প খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। এই সূচক ব্যবসায়িক মনোভাব এবং ভবিষ্যতের অর্ডার ও উৎপাদনের পরিমাণ সংক্রান্ত প্রত্যাশা প্রতিফলিত করে। তবে এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষেবা খাতের PMI, যেটি সেই খাতের পরিস্থিতি নির্দেশ করে যা যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে। এই সূচকের বৃদ্ধি বা হ্রাস ভোক্তা চাহিদা এবং বিনিয়োগ কার্যক্রমে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা সরাসরি দেশটির সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং ব্রিটিশ পাউন্ডের ওপর প্রভাব ফেলে।
উৎপাদন ও পরিষেবা খাতের তথ্য মিলিয়ে প্রণীত কম্পোজিট PMI যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র উপস্থাপন করবে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের আরও কারেকশন ঘটতে পারে।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2985-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2935-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2985-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি বাই পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে সেল ওপেন করতে যাচ্ছি, উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস পুলব্যাকের প্রত্যাশা করছি। শুধুমাত্র সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা দেখা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2907-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। 1.2935 এবং 1.2985-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1: আজ পাউন্ডের মূল্য 1.2907-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2865-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে বাই ট্রেড ওপেন করার পরিকল্পনা করছি, এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি। যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2935-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। 1.2907 এবং 1.2865-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।