সকালের সেশনে যখন MACD সূচক ইতিমধ্যেই শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.0420 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রি করিনি। কিছুক্ষণ পরেই 1.0420 লেভেলের দ্বিতীয় টেস্ট ঘটে, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে ছিল, যা এই পেয়ার ক্রয়ের জন্য সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। তবে, এর ফলে এই পেয়ারের মূল্য মাত্র ১০-পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।
ট্রেডাররা ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি প্রতিবেদন নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, কারণ এটি বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দেবে। জার্মানির মূল্যস্ফীতির বৃদ্ধির হার অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসের সাথে মিলে গেছে, যার ফলে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য কোনো মুভমেন্ট সৃষ্টি হয়নি। তবে, আজ জানুয়ারির মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
যদি উৎপাদক মূল্য সূচকে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তাহলে ফেডারেল রিজার্ভ হকিশ বা কঠোর অবস্থান বজায় রাখতে পারে, যা মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করবে এবং ইউরোর ওপর চাপ সৃষ্টি করবে, ঠিক যেমনটি গতকাল দেখা গিয়েছিল। সাপ্তাহিক প্রাথমিক বেকার ভাতা আবেদন সংক্রান্ত প্রতিবেদনও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যদি আবেদনের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার এবং শ্রমবাজার দুর্বল হওয়ার সংকেত দিতে পারে, যা ফেডকে আরও ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে, মার্কিন ডলার দুর্বল হতে পারে এবং ইউরো সমর্থন পেতে পারে।
আজকের দৈনিক ট্রেডিং কৌশল হিসেবে আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করবো।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন ইউরোর মূল্য 1.0467-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0431-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0467-এর লেভেলে গেলে, আমি বাই পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর সেল পজিশন ওপেন করব।
মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হলে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0404-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0431 এবং 1.0467-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0404-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0370-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি সেল পজিশন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে ইউরোর বাই পজিশন ওপেন করব।
গুরুত্বপূর্ণ! বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0431-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0404 এবং 1.0370-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
ফরেক্স মার্কেটে নতুন ট্রেডারদের মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে মার্কেটের বাইরে থাকাই ভাল। আপনি যদি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ক্ষতি কমাতে সর্বদা স্টপ অর্ডার সেট করুন। স্টপ অর্ডার না সেট করলে আপনি খুব দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট হারাতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনি মানি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার না করেন এবং বড় ভলিউমে ট্রেড করেন।
এবং মনে রাখবেন সফলভাবে ট্রেড করার জন্য আপনার ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে নির্ধারণ করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে।