১৯ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর মধ্যে প্রায় কোনটিই খুব বেশি উল্লেখযোগ্য নয়। ইউরোজোনে জার্মানিতে GfK কনজিউমার কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা গুরুত্বের দিক থেকে সম্পূর্ণভাবে গৌণ হিসেবে বিবেচিত হয়। যুক্তরাজ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদনের তৃতীয় অনুমান এবং কিছু গৌণ গুরত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, যেমন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র জিডিপি প্রতিবেদন মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করার সক্ষমতা রাখে। তবে, এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, গত রাতে অনুষ্ঠিত FOMC-এর বৈঠকের ফলাফলও আজকের ট্রেডিংয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক আজ EUR/USD পেয়ারের মূল্যকেও প্রভাবিত করতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

বৃহস্পতিবারের প্রধান ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হচ্ছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক। যদিও মার্কেটের ট্রেডাররা প্রত্যাশা করছে যে যুক্তরাজ্যের সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে, তবে এই বৈঠকের ফলাফলের প্রভাবে এখনও উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। গত রাতে, মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভের সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে "ডট প্লট" চার্ট ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সৃষ্টি করেছিল। আজকের বৈঠকে, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সদস্যদের সুদের হার সংক্রান্ত ভোটের ফলাফলের উপর ভিত্তি করে মার্কেটে উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

উপসংহার:

এ সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি অব্যাহত থাকতে পারে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও ফেড বৈঠকের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে এবং একই সঙ্গে তারা ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলের প্রতিও প্রতিক্রিয়া জানাবে। মধ্যমেয়াদে, আমরা ইউরো এবং পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা ধরে রেখেছি, তবে আজ উভয় ইউরোপীয় কারেন্সির কিছুটা মূল্য বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। সবকিছু নির্ভর করবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের অবস্থান এবং গৃহীত সিদ্ধান্তের উপর।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।