বুধবার, GBP/USD পেয়ারেরও তীব্র দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে, যা ফেডারেল রিজার্ভের আকস্মিক হকিশ বা কঠোর অবস্থানের কারণে ঘটেছে। পূর্ববর্তী বিশ্লেষণগুলোতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধির প্রধান কারণ জেরোম পাওয়েলের বক্তব্য নয় (যদিও এটি কিছুটা ভূমিকা রেখেছিল), কিংবা সুদের হার কমানোর বিষয়টিও নয় (যা মৌলিকভাবে অযৌক্তিক), বরং "ডট প্লট" চার্টের কারণে ডলারের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ফেডের নীতিনির্ধারকরা 2025 সালে নীতিমালা নমনীয়করণের সম্ভাবনা আগের চেয়ে অনেক কম দেখছেন। এর অর্থ হলো, ফেডের সদস্যরা আর উল্লেখযোগ্যভাবে সুদের হার কমানোর পক্ষে ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত নন।
তবে, সেপ্টেম্বর 2022 থেকে, মার্কেটের ট্রেডাররা ব্যাপক মাত্রায় আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের প্রত্যাশা করে আসছিল, যেখানে সুদের হার 2% পর্যন্ত কমতে পারে বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। আমরা পুরো 2024 জুড়ে যে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করেছি, তা হলো, মার্কেটের ট্রেডাররা এখন ডলারের ন্যায্য মূল্য পুনর্নির্ধারণ করছে এবং এটির অযৌক্তিক দরপতন পুষিয়ে নিচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই এই পেয়ারের মূল্যে প্রভাব ফেলেছিল।
আজ ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের (BoE) বৈঠকের প্রভাবে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য দ্রুত রিকোভার করার সুযোগ পেতে পারে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর অথবা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের সম্ভাবনা খুবই কম, যা পাউন্ডকে কিছুটা সমর্থন প্রদান করতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টবুধবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে চারটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, সেসময় একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছিল। এই সিগন্যালগুলো খুবই নির্ভুল ছিল এবং ট্রেডাররা 10–15 পিপস মুনাফা অর্জন করতে পারত। তবে, তীব্র দরপতন শুরু হওয়ার পর মার্কেটে এন্ট্রি করা আরও চ্যালেঞ্জিং হয়ে ওঠে। নতুন ট্রেডাররা যদি এই মুভমেন্ট থেকে মুনাফা করতে সক্ষম হয়ে থাকেন, তবে এটি অবশ্যই ইতিবাচক ফলাফল।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, সম্ভবত GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে, যদিও এ বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া কঠিন। আমরা মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমাদের মতে এটিই সবচেয়ে যৌক্তিক ফলাফল। তবে, মনে রাখতে হবে যে, মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাউন্ড দরপতনের ক্ষেত্রে শক্তিশালী প্রতিরোধ দেখাতে পারে। অতএব, আরও দরপতনের প্রত্যাশা করলেও, ট্রেডারদের টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত।
বৃহস্পতিবার, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের কারণে পুনরায় GBP/USD পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি দেখা যেতে পারে, যা যেকোন দিকে মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে।
5-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করুন:
1.2387, 1.2445, 1.2502–1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680–1.2685, 1.2723, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে যার প্রতি ট্রেডাররা সজাগ দৃষ্টি রাখবে। পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড যদি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে, তবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনাও পুরোপুরি বাতিল করা যায় না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।