বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ার সামান্য নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে 1.0451–1.0596 এর হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেড করেছে। এই পেয়ারের মূল্য বর্তমানে এই চ্যানেলের নিম্ন সীমানায় পৌঁছেছে, তাই একটি রিবাউন্ড এবং নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, সাইডওয়েজ মুভমেন্ট এবং কারেকশন চিরকাল চলমান থাকতে পারে না। ফলে, আমাদের মতে এই পেয়ারের মূল্যের 1.0451 এর লেভেল ব্রেক করে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। গতকাল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রত্যাশিতভাবেই সুদের হার 0.25% কমিয়েছে। তবে, এই সিদ্ধান্ত সরাসরি ইউরোর দরপতন ঘটিয়েছে বলে মনে হয় না। সাম্প্রতিক দিনগুলোর ইউরোর মূল্যহ্রাস মূলত প্রযুক্তিগত কারণে, বিশেষ করে হরাইজন্টাল চ্যানেলের উপরের সীমানা থেকে রিবাউন্ডের ফলে ঘটেছে। ক্রিস্টিন লাগার্ড গতকাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন, তবে নতুন করে আর্থিক নীতিমালা শিথিলকরণের ঘোষণা দেননি। তার বক্তব্যে মার্কেটের ট্রেডারদের দুর্বল প্রতিক্রিয়া এই বিষয়টি নিশ্চিত করে যে বর্তমানে ইসিবি'র অবস্থান তেমন গুরুত্ব বহন করছে না। চলমান নিম্নমুখী প্রবণতা এবং গত দুই বছর ধরে ইউরোর অতিরিক্ত ক্রয়ই মূল বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টবৃহস্পতিবার 5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে মূল্য 1.0526 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে এবং 1.0451 লেভেলে নেমে যায়। সারা দিন ধরে, আমরা উভয় দিকেই এই পেয়ারের মূল্যের "সুইং" মুভমেন্ট হতে দেখেছি, যা ইসিবির বৈঠক এবং লাগার্ডের বক্তৃতার কারণে সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়। তবুও, এই পেয়ারের মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে এবং এখন ইউরোর মূল্যকে 1.0433–1.0451 এলাকায় নিচে কনসলিডেট করতে হবে।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:ঘণ্টাভিত্তিক চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এখনও কারেকশন হচ্ছে এবং 1.0451–1.0596 এর হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে ট্রেডিং হচ্ছে। দুই মাসের নিম্নমুখী প্রবণতার পরেও, মার্কেটে ইউরো ক্রয়ের উল্লেখযোগ্য আগ্রহ দেখা যায়নি। আজ বা আগামী সপ্তাহের শুরুতে, মূল্য এই চ্যানেলের নিম্ন সীমানা ব্রেক করে বের হতে পারে, যা তিন মাস আগে শুরু হওয়া নিম্নমুখী প্রবণতার পুনঃসূচনার সংকেত দেবে।
আমরা শুক্রবারেও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করছি, কারণ মূল্য বারবার 1.0596 এর লেভেল ব্রেক করে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।
5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে বিবেচনা করার মতো স্তরগুলো হল: 1.0269–1.0277, 1.0334–1.0359, 1.0433–1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726–1.0733, 1.0797–1.0804, 1.0845–1.0851, 1.0888–1.0896। শুক্রবার, ইউরোজোন একটি শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, যা তেমন গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে না। আজকের জন্য মার্কিন ইভেন্ট ক্যালেন্ডার খালি রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।