যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0550-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা আমার মতে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি ইউরো বিক্রির সিদ্ধান্ত নিইনি এবং এন্ট্রি পয়েন্টটি কাজে লাগাতে পারিনি।
শুধুমাত্র জার্মান মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কারণে ইউরোর দরপতন ঘটেনি, তবে বাস্তবতা হলো: জার্মানিতে নভেম্বরের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির হার কমার প্রতিবেদন প্রকাশের সময় দিনের প্রথমার্ধে ইউরোর দরপতন ঘটেছে।
মার্কিন সেশনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে নাও হতে পারে, তবে এই প্রতিবেদন কিছু নির্দিষ্ট উপাদান স্বল্পমেয়াদে মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে:
NFIB ক্ষুদ্র ব্যবসার আশাবাদ সূচক:
এই সূচকটি ঐতিহ্যগতভাবে ব্যবসায়িক মনোভাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসাবে বিবেচিত হয়। আশাবাদের উন্নতি ঘটলে এটি বিনিয়োগ কার্যক্রমে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিতে পারে, যা মার্কিন ডলারকে শক্তিশালী করতে পারে।
অ-উৎপাদন খাতে শ্রম উৎপাদনশীলতা:
শ্রম উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির অর্থ কর্পোরেট মুনাফা বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হওয়ার সম্ভাবনা, যা মার্কিন ডলারকে সমর্থন করতে পারে।
শ্রম খরচ:
শ্রম খরচের পরিবর্তন মজুরি সংক্রান্ত মুদ্রাস্ফীতি এবং সামগ্রিক ব্যয়ের চাপের প্রবণতাগুলো প্রকাশ করতে পারে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক নীতিমালা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলতে পারে।
তবে, এই সূচকগুলোর ছোটখাটো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হলে সেটি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন মূল্য 1.0575-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.0539-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0575-এর লেভেলে গেলে, আমি মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরো বিক্রি করব। আজ ইউরোর মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই, কিন্তু ইউরোর মূল্যের আরেকবার সাপ্তাহিক সর্বোচ্চ লেভেলের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং সেখান থেকে উপরের দিকে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: আজ MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0518-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি ইউরো কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0539 এবং 1.0575-এর লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করতে পারি।
সেল সিগন্যালপরিকল্পনা #1 : EUR/USD পেয়ারের মূল্য চার্টে লাল লাইন দ্বারা চিহ্নিত 1.0518-এর লেভেলে পৌঁছানোর পর আমি ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0490-এর লেভেল, যেখানে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরো কিনতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। মূল্য দৈনিক সর্বোচ্চ লেভেলে কাছাকাছি থাকা অবস্থায় ক্রেতাদের সক্রিয় কার্যকলাপ না দেখা গেলে এই পেয়ারের উপর চাপ সম্ভবত ফিরে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2 : MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0539-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0518 এবং 1.0490-এর লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।