৫ ডিসেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবার অপেক্ষাকৃত কম সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মূলত, উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনগুলোর মধ্যে ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় এবং মার্কিন জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই দুটি প্রতিবেদন গুরুত্বের দিক থেকে "মাঝারি" হিসেবে বিবেচিত হয়, তাই এগুলোর প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করা হচ্ছে না। এই সপ্তাহে ট্রেডাররা ট্রেডিংয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি, দুই মাসের দরপতনের পর উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ধীরগতির কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। ইউরোর মূল্য ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে, আর পাউন্ডের মূল্যের দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের সদস্য থমাস বারকিনের বক্তৃতা অনুষথিত হবে। তবে, এটি উল্লেখযোগ্য যে জেরোম পাওয়েলের গতকালের বক্তৃতা থেকে নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই, বারকিন ফেডের মুদ্রানীতি সম্পর্কে নতুন কোনো দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে না। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত মুদ্রানীতি সমন্বয় করার আগে মুদ্রাস্ফীতি ও শ্রমবাজার সংক্রান্ত নতুন প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে।

উপসংহার

সপ্তাহের চতুর্থ দিনের ট্রেডিংয়ে ইউরোর মূল্য সম্ভবত হরাইজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকবে, আর পাউন্ডের মূল্যের দুর্বল ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন বজায় থাকবে। যেহেতু অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না এবং খুবই সীমিত ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট রয়েছে, তাই মার্কেটে অস্থিরতার মাত্রা কম থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে, এবং অত্যন্ত এলোমেলো মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।