GBP/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ৫ ডিসেম্বর; ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড ২০২৫ সালে মুদ্রানীতি নমনীয় করতে যাচ্ছে: ভারসাম্যপূর্ণ কিন্তু অসাধারণ কিছুই নয়

বুধবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টের পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় কনসোলিডেশন করে কাটিয়েছে

বুধবার GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য প্রবণতাভিত্তিক মুভমেন্টের পরিবর্তে বেশিরভাগ সময় কনসোলিডেশন করে কাটিয়েছে। দিনের বিভিন্ন সময়ে অ্যান্ড্রু বেইলি, জেরোম পাওয়েল এবং ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা দেয়ার পরও ট্রেডাররা এসব ইভেন্ট থেকে তেমন কোনো মূল্যবান বা আকর্ষণীয় তথ্য পাননি। এটি স্বাভাবিক, কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নররা সব সময় এমন বিবৃতি দেন না যা মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে সক্ষম। এর একটি স্পষ্ট উদাহরণ ক্রিস্টিন লাগার্ডের সাম্প্রতিক বক্তৃতাগুলো—গতকাল তিনি দুটি বক্তৃতা দিয়েছে এবং গত আড়াই সপ্তাহে পাঁচ বা ছয়বার বক্তব্য দিয়েছে—যার কোনোটিতেই কোন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আসেনি।

একইভাবে, অ্যান্ড্রু বেইলিও কোনো উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রদান করেননি। তার আলোচনার মূল্য বিষয় ছিল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড 2025 সালে সুদের হার 1% কমানোর জন্য প্রস্তুত, যেখানে 0.25% করে চারবার সুদের হার কমানোর হবে। এই পরিকল্পনাটি "প্রত্যাশিত দৃশ্যপট" হিসাবে বিবেচিত হয় এবং ইতোমধ্যেই মার্কেটের ট্রেডাররা এমন প্রত্যাশাই করছেন। বেইলি আরও উল্লেখ করেছেন যে, গত বছরে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হারে মুদ্রাস্ফীতি কমেছে, তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মুদ্রানীতিতে পরিবর্তন আনতে তাড়াহুড়ো করছে না। এই "প্রত্যাশিত দৃশ্যপট" ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য ইতিবাচক বা নেতিবাচক কিছুই নয়। চারবার সুদের হার হ্রাস গুরুত্বপূর্ণ নাকি মাঝারি গুরুত্বসম্পন্ন সেটা নির্ধারণ করাও কঠিন। ফলে, এই তথ্য থেকে পাউন্ডের সমর্থন পাওয়ার কোন আশা ছিল না।

গতকালের ইভেন্টগুলোর দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাচ্ছে যে পাওয়েলও কোন উল্লেখযোগ্য অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেননি। এদিকে, S&P পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হয়েছিল, তবে সেগুলো মার্কেটের ট্রেডার্দের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি। কেবলমাত্র মার্কিন ISM পরিষেবা সংক্রান্ত সূচকের ফলাফল মার্কেটে কিছুটা মুভমেন্ট সৃষ্টি করেছিল। সপ্তাহে আরও দুই দিন বাকি থাকলেও এবং সামনে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের কথা থাকলেও, প্রথম তিন দিনে দেখা গেছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা সক্রিয় ট্রেডিংয়ের প্রতি আগ্রহী নয়, এবং পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার মতো অনুঘটক পাচ্ছে না—এটি প্রত্যাশিত, কারণ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে এমন সমর্থনকারী কারণ নেই।

এটি উল্লেখযোগ্য যে ADP কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রায়ই নন-ফার্ম পেরোল (NFP) প্রতিবেদনের "ছোট ভাই" হিসেবে বিবেচিত হয়। ADP প্রতিবেদনে নভেম্বরে 146,000 কর্মসংস্থান সৃষ্টি পরিসংখ্যান পরিলক্ষিত হয়েছে, যা 150,000 পূর্বাভাসের তুলনায় সামান্য কম। আমরা বারবার উল্লেখ করেছি, ADP প্রতিবেদন খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ মার্কিন শ্রমবাজার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে মার্কেটের ট্রেডাররা মূলত নন-ফার্ম পেরোল (NFP) প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করে। পাশাপাশি, ADP এবং NFP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন মধ্যে কোনো সম্পর্ক নেই। ADP প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যেতে পারে, যেখানে NFP প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কম হতে পারে, এবং পূর্বাভাসে প্রায়ই বড় পার্থক্য দেখা যায়। আপাতত বলা যায়, মার্কেটে কোন কিছুরই পরিবর্তন হয়নি। এই সপ্তাহে ইউরো বা ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার জন্য মার্কেটে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল। প্রযুক্তিগত চিত্র অপরিবর্তিত রয়েছে, এবং পাউন্ডের মূল্যের নতুন কোনো ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টামের জন্য কোন অনুঘটক নেই।

গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে 79 পিপস, যা এই কারেন্সি পেয়ারটির জন্য "গড়পরতা" হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্যের 1.2631 এবং 1.2789 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনা নির্দেশ করে। CCI সূচকটি একাধিক বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে এবং একাধিকবার ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে। একটি কারেকশন শুরু হয়েছে, তবে এর স্থায়িত্ব অনুমান করা এখনো কঠিন।

নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:S1: 1.2573S2: 1.2451নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:R1: 1.2695R2: 1.2817R3: 1.2939ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা এখনো লং পজিশন বিবেচনা করছি না, কারণ আমরা মনে করি যে মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ব্রিটিশ মুদ্রার সম্ভাব্য দর বৃদ্ধির সকল কারণ একাধিকবার মূল্যায়ন করেছে। যদি আপনি "শুধুমাত্র টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস"-এর উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তবে মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের উপরে স্থায়ীভাবে অবস্থান করলে 1.2789 এবং 1.2817 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে, শর্ট পজিশন এখনো বেশি প্রাসঙ্গিক, এবং মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে স্থির হলে 1.2451 লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট ট্রেড করা যেতে পারে।

চিত্রের ব্যাখা:লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।