বুধবার ও বৃহস্পতিবার মন্থরতার সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য "2/8" মারে লেভেল 1.0498-এ পৌঁছানোর পর, মূল্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন বা উল্লেখযোগ্য কোনো মুভমেন্ট প্রদর্শন করেনি; বরং এটি সাইডওয়েজ মুভমেন্টের সাথে কনসলিডেট করেছে। এমনকি ইউরোর মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের উপরে স্থির হতে পারেনি, যা বর্তমানে মূল্যের কাছাকাছি রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে প্রথম যে সিদ্ধান্তে আসা যায়, তা হলো মার্কেটে এই পেয়ারের ক্রেতারা নিষ্ক্রিয় রয়েছে।
এটি মোটেও আশ্চর্যের নয়, কারণ আমরা বছরের শুরু থেকেই বেশ অনেকগুলো কারণ উল্লেখ করে বলেছি যে ইউরোর মূল্য বেশি বেড়ে গেছে এবং ডলারের বিপরীতে এটির মূল্য শুধুমাত্র নিম্নমুখী হওয়া উচিত। হ্যাঁ, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা প্রত্যাশার তুলনায় পরে শুরু হয়েছে, তবে মার্কেট মুভমেন্টের পূর্বাভাস দেওয়া অত্যন্ত কঠিন, বিশেষত মুভমেন্ট ঘটার সময়ের ব্যাপারে। এটি জানা জরুরি যে, যেকোন পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট মূলত মার্কেটের ট্রেডারদের উপর নির্ভর করে, বিশেষত মার্কেট মেকারদের উপর, এবং নতুন প্রবণতা কখন শুরু হবে সঠিকভাবে তার পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়।
এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে এবং এটি শীঘ্রই শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এই সপ্তাহে, ইউরোপ বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উল্লেখযোগ্য কোনো ইভেন্ট ছিল না, যার ফলে মূল্য স্থবির অবস্থায় রয়েছে। তবে, প্রতিবেদন অভাবে মূল্য স্থির থাকাও এই ইঙ্গিত দেয় যে এটি কেবল দরপতন পুনরায় শুরু করার জন্য সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে।
যেকোন প্রবণতা বজায় রাখতে সবসময় কারেকশনের প্রয়োজন হয় না। হ্যাঁ, অন্তত মাঝে মাঝে কারেকশন হওয়া উচিত। তবে, আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই যে হায়ার টাইমফ্রেমে 1,000 পিপসের দরপতন ঘটলে 4-ঘণ্টার চার্টে এটি একটি শক্তিশালী প্রবণতার মতো মনে হতে পারে, তবে সাপ্তাহিক চার্টে এটি কেবলই রুটিন মুভমেন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়।
আমরা আশা করছি যে শক্তিশালী কোনো কারেকশন ছাড়াই ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকবে। একবার মূল্য 1.0500 এর লেভেল অতিক্রম করে নিচের দিকে গেলে, 1.0400 লেভেলের লক্ষ্যমাত্রা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে। বছরের শুরু থেকেই আমরা এই পেয়ারের 1.02–1.04 রেঞ্জে দরপতনের পূর্বাভাস দিয়েছি, এমনকি মূল্যের প্যারিটি লেভেল পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। সাপ্তাহিক টাইমফ্রেমে, ফ্ল্যাট প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে, তবে মূল্য 1.0400 এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে গেলে সেটি ফ্ল্যাট প্যাটার্নের সমাপ্তি নিশ্চিত করবে এবং এই রেঞ্জের নিম্ন সীমার নিচে একটি ব্রেকআউটের সংকেত দেবে। এমন পরিস্থিতিতে, 1.0000 পর্যন্ত দরপতন একটি ইতিবাচক ফলাফল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, যেখানে এই পেয়ারের মূল্য সর্বশেষ নিম্ন লেভেল 0.9500 এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করতে পারে।
২২ নভেম্বর পর্যন্ত গত ৫ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে ৮১ পিপস, যা "মাঝারি" হিসাবে বিবেচিত হয়। শুক্রবার, এই পেয়ারের মূল্য 1.0405 এবং 1.0567 এর মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। হায়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিম্নমুখী হচ্ছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের বৈশ্বিক নিম্নমুখী প্রবণতা নিশ্চিত করে। CCI সূচকটি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা একটি সম্ভাব্য কারেকশন ইঙ্গিত দেয়, যদিও এই কারেকশন দুর্বল ছিল এবং ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। একটি নতুন বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠিত হয়েছে, যা আরও একটি সম্ভাব্য কারেকশনের সতর্কবার্তা দিচ্ছে। তবে, মূল্য এখনও মুভিং অ্যাভারেজের উপরে উঠতে পারেনি।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:S1: 1.0498S2: 1.0376S3: 1.0254নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:R1: 1.0620R2: 1.0742R3: 1.0864ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতায় চলমান থাকায় আমরা মাঝারি-মেয়াদে এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার পূর্বাভাস বজায় রাখছি। মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই ফেডের সুদের হার হ্রাসের বিষয়টি মূল্যায়ন করেছে, যার ফলে ডলারের দীর্ঘমেয়াদী দরপতনের সীমিত সম্ভাবনা রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের নিচে থাকলে শর্ট পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, এক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0405 এবং 1.0376 এর লেভেল। এই পেয়ারের মূল্য মুভিং অ্যাভারেজের উপরে ওঠার পরে লং পজিশন বিবেচনা করা উচিত, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0665 এবং 1.0742 এর লেভেল। তবে, বর্তমানে আমরা ট্রেডারদের লং পজিশন ওপেন করার পরামর্শ দিচ্ছি না।
চিত্রের ব্যাখা:লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।