শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনের প্রচেষ্টাও পরিলক্ষিত হয়নি। যেমনটি আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যেখানে দেশটির খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন মার্কেটে বেশি প্রভাব বিস্তার করেছে। যুক্তরাজ্যেও দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে, তৃতীয় প্রান্তিকের দ্বিতীয় পূর্বাভাসে দেশটির জিডিপির 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রাথমিক পূর্বাভাসের 0.2% থেকে কম - এটি একটি নেতিবাচক বিষয়। দেশটির শিল্প উৎপাদনও স্বাভাবিকভাবেই হ্রাস পেয়েছে এবং ট্রেডাররা যা আশা করেছিল তার চেয়েও বেশি হ্রাস পেয়েছে। প্রকাশিত চারটির মধ্যে তিনটি প্রতিবেদনই মার্কিন ডলারকে সমর্থন করেছে, মৌলিক পটভূমির সমর্থন ছাড়াও যেটির মূল্য অবিরাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা আমাদের মতামত বজায় রেখেছি যে মার্কিন ডলারের মূল্য আরও বাড়বে, যেটি আমরা দুই মাস ধরে তুলে ধরেছি। বছরের শুরু থেকেই আমরা ইউরো এবং পাউন্ডের অযৌক্তিক দর বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছি, ফলে মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ারগুলোকে ন্যায্য মূল্যে পুনর্বিন্যাস করবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছি। এই প্রক্রিয়াটি এখন চলমান রয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5-মিনিটের চার্টে, 1.2680-1.2685 এরিয়ায় দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। নতুন ট্রেডাররা এই ট্রেডগুলো কার্যকর করতে পারতেন। দিনের শেষের দিকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2633 লেভেলটি করেছিল, যা শর্ট ট্রেড ওপেন রাখার সুযোগ দেয়। শুক্রবারে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতার মাত্রা খুব বেশি না হলেও, শর্ট পজিশন থেকে 20-30 পিপস লাভ হয়েছে।
সোমবারে ট্রেডিংয়ের কৌশল:ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝারি-মেয়াদী পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করছি, কারণ এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হচ্ছে। শীঘ্রই আবার পাউন্ডের মূল্যের আরেকটি কারেকশনের প্রচেষ্টা চালানো হতে পারে, তবে এ ধরনের একটি পদক্ষেপের জন্য উল্লেখযোগ্য সমর্থন প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার পাওয়েলের বক্তব্য এবং শুক্রবার প্রকাশিত যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে পাউন্ড খুব বেশি সমর্থন পায়নি। সবকিছুই এখন পাউন্ডের আরও দরপতনের সম্ভাবনা নির্দেশ করে।
সোমবার, নতুন ট্রেডাররা আরও দরপতনের ধারাবাহিকতার প্রত্যাশা করতে পারেন, যেহেতু মূল্য আরেকটি সাপোর্ট লেভেল 1.2633 ব্রেক করে ফেলেছে।
আজ আপনি নিম্নলিখিত লেভেলগুলো ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন: 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2754, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993। সোমবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমি থাকবে না। তবে, এর মানে এই নয় যে পাউন্ডের দরপতন বন্ধ হবে। মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে ডলার ক্রয়ের দিকে বেশি মনোযোগ দিচ্ছে, তাই কোন গুরুত্বপূর্ণ খবর বা প্রতিবেদন ছাড়াই আরেকবার এই পেয়ারের দরপতন হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।