৩০ অক্টোবর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সাথে ট্রেডিং অব্যাহত রয়েছে এবং মূল্য ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনটি ব্রেক করে উপরের দিকে উঠে যায়। তবে, এর মানে এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যাবে, যেমনটি ইউরোর ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্যের এই কারেকশন দুর্বল ও মন্থর হতে পারে, এবং এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলেও সপ্তাহের গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিবেদন প্রকাশের পর মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে ডলার কেনার প্রবণতা ফিরে আসতে পারে। এখন পর্যন্ত পাউন্ড কেনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না, দীর্ঘ সময় ধরে শুধুমাত্র একটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পর এটি স্বাভাবিক পরিস্থিতি। তাই, এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকছি। আজ থেকে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে শুরু করবে, যেখানে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের উচ্চ মাত্রার ভোলাটিলিটি দেখা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে, মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্য ধীরে ধীরে বাড়ছিল। একসময় এই পেয়ারের মূল্য 1.2980-1.2993 এরিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল, তবে কোন নিশ্চিত বাউন্স বা স্পষ্ট ব্রেকথ্রু গঠন করতে পারেনি। ভোলাটিলিটির মাত্রা কম ছিল, এবং বর্তমানে ব্রিটিশ কারেন্সির দর বৃদ্ধির তুলনায় নতুন করে দরপতনের সম্ভাবনাই বেশি।

বুধবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে। মধ্যমেয়াদে, আমরা পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি সমর্থন করি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। শিগগিরই পাউন্ডের মূল্যের কারেকশনের চেষ্টা করা হতে পারে, তবে এজন্য এই সপ্তাহে প্রকাশিতব্য অধিকাংশ মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল দুর্বল হতে হবে। পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য বর্তমানে কোন শক্তিশালী ভিত্তি নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

বুধবার ধীরগতিতে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান থাকতে পারে, তবে সপ্তাহের শেষ তিন দিনের জন্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত হবে।

৫ মিনিটের টাইম ফ্রেমে, আপনি 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, এবং 1.3428-1.3440 লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করতে পারেন। বুধবারে যুক্তরাজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই, তবে যুক্তরাষ্ট্রে ADP থেকে বেসরকারি খাতের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং তৃতীয় প্রান্তিকের GDP প্রতিবেদনের প্রাথমিক অনুমান প্রকাশিত হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।