মঙ্গলবারেও GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট প্রদর্শন করেনি। এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি খুবই কম ছিল, যা নিচের চিত্রে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, এবং এই সমস্যা কেবল মঙ্গলবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মার্কেটে অত্যন্ত কম সক্রিয়ভাবে ট্রেডিং করা হয়েছে। এমন নিম্ন ভোলাটিলিটির মধ্যে যেকোনো কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করা চ্যালেঞ্জিং, কারণ কার্যত মূল্যের কোনো মুভমেন্টই নেই। ২০-পিপস মুনাফা করার জন্য কয়েকদিন অপেক্ষা করা কিছু ট্রেডারের জন্য উপযোগী হতে পারে, কিন্তু সবার জন্য নয়।
বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে, ট্রেডারদের সামনে কিছু বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, কেউ চাইলে মার্কেটের বাইরে অপেক্ষা করতে পারে। অনেক সময়, মার্কেটে এন্ট্রি না করাই সেরা সিদ্ধান্ত হতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা বিরোধপূর্ণ। একদিকে, পাউন্ডের মূল্য গত এক মাস ধরে স্থিরভাবে নিম্নমুখী হয়েছে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক নিম্নমুখী প্রবণতাটি দুর্বল ছিল, এবং এর সাথে কারেকশনের ইঙ্গিত, বুলিশ ডাইভারজেন্স এবং সূচকগুলো থেকে ওভারবট সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের এতগুলো উর্ধ্বমুখী হইয়ার সম্ভাবনার সংকেতের মধ্যে শর্ট পজিশন ওপেন করা চ্যালেঞ্জিং।
মনে রাখা জরুরি যে, মার্কেট কোন সূচক চালায় না, বরং বাজারের ট্রেডাররা—বিশেষত বড় প্লেয়ার বা মার্কেট মেকাররা চালায়। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হল: কোন বিষয়টি বড় প্লেয়ারদের পাউন্ড বিক্রি চলমান রাখা থেকে রোধ করতে পারে? পাউন্ডের মূল্য দুই বছর ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা প্রায়শই মার্কেটের এমন পরিস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে। যেকোনো মুভমেন্ট ব্যাখ্যা করা সম্ভব, কিন্তু সেটি অবশ্যই যুক্তিযুক্ত বা যথার্থ হবে এমন নয়।
সুতরাং, এই সপ্তাহের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, তবে এর প্রতি প্রতিক্রিয়া হতে হবে দ্রুত এবং তাৎক্ষণিক। আগেভাগে ননফার্ম পেরোল বা বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল অনুমান করা অসম্ভব। সপ্তাহের শেষে প্রযুক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি পুনর্মূল্যায়ন করা যেতে পারে। যাই হোক না কেন, যদি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ঘটে, তবে সেটিকে একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা উচিত, যা পূর্ববর্তী ইম্পালসিভ মুভমেন্টের চেয়েও ধীরগতিতে হতে পারে।
দৈনিক চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য ইচিমোকু ক্লাউডের নিচে অবস্থান করছে, যা মধ্যমেয়াদে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার সংকেত দেয়। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড শীঘ্রই তাদের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ পুনরায় শুরু করতে পারে, কারণ তারা এই ধরনের পদক্ষেপে "পিছিয়ে পড়েছে।" মার্কেটের ট্রেডাররা দুই বছর ধরে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নমনীয়করণের প্রত্যাশায় ডলার বিক্রি করেছে, এবং এখন পরিস্থিতি উল্টে গেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড কেবল একবার সুদের হার কমিয়েছে, এবং তারা যত বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করবে, ভবিষ্যতে ততই আগ্রাসীভাবে সুদের হার কমানো হতে পারে।
ফলস্বরূপ, আমরা এখনও পাউন্ড কেনার জন্য কোনো কারণ দেখছি না। এমনকি মধ্যমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হলেও, এটি সম্ভবত আরেকটি অযৌক্তিক মুভমেন্ট হবে, যা পরবর্তীতে ব্যাখ্যা করা কঠিন হবে। প্রতিটি ট্রেডারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তারা এমন মুভমেন্টে ব্যবহার করবেন কি না।
গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের গড় ভোলাটিলিটি হচ্ছে ৬৫ পিপস, যা এই পেয়ারের জন্য "গড়" হিসাবে বিবেচিত। তাই, বুধবার, ৩০ অক্টোবর, আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2937 এবং 1.3067 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেলটি ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যা একটি চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত দিচ্ছে। CCI ইন্ডিকেটরটি পতন শুরুর আগে ছয়বার বিয়ারিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছিল। সম্প্রতি, এই ইন্ডিকেটরটি ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে এবং কয়েকটি বুলিশ ডাইভারজেন্স গঠন করেছে, যা একটি সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
নিকটতম সাপোর্ট লেভেল:
S1 – 1.2970S2 – 1.2939S3 – 1.2909নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:
R1 – 1.3000R2 – 1.3031R3 – 1.3062ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। আমরা এখনও লং পজিশন বিবেচনা করছি না, কারণ আমরা মনে করি ব্রিটিশ কারেন্সির মূল্য বৃদ্ধি করতে পারে এমন সবগুলো কারণই ট্রেডাররা ইতোমধ্যে মূল্যায়ন করেছে। যদি আপনি কেবল টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করেন, তবে এই পেয়ারের মূল্য মুভিং এভারেজের উপরে থাকলে 1.3062 এবং 1.3092 এর লক্ষ্যমাত্রায় লং পজিশন বিবেচনা করা যেতে পারে। শর্ট পজিশন আরও প্রাসঙ্গিক হতে, যার লক্ষ্য 1.2909 এবং 1.2878, তবে এজন্য এই পেয়ারের মূল্যকে মুভিং এভারেজের নিচে স্থিতিশীল হতে হবে।
চিত্রের ব্যাখা:লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী।মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে।মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা।অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়।সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।