বৃহস্পতিবার EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এটি মূল্যকে দীর্ঘদিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের উপরে উঠানোর জন্য যথেষ্ট ছিল, যা কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সুযোগ এনে দেয়। আমরা নতুন ট্রেডারদের সতর্ক করতে চাই যে এই ট্রেন্ডলাইনের ব্রেকআউটটি কোন কাজের নাও হতে পারে। অবশ্যই, ইউরোর মূল্য অনির্দিষ্টকালের জন্য নিম্নমুখী থাকতে পারে না, তবে একমাসের দীর্ঘ দরপতনের পরে, সহজে এবং দ্রুত এই পেয়ারের মূল্যের বৃদ্ধি শুরু হওয়া কঠিন বলে মনে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, গতকাল ইউরোর দর বৃদ্ধির জন্য কোনও সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। ইউরোজোনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম সূচকগুলোর ফলাফল মিশ্র ছিল, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত প্রতিববেদনের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়েছে। শুধুমাত্র জার্মানির সূচকগুলো বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস অতিক্রম করেছে, যা ইউরোকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে থাকতে পারে। তবে সেই ক্ষেত্রে, ইউরোর দর বৃদ্ধির বিষয়টি শুধুমাত্র প্রতিবেদনের উপর নির্ভরশীল। আজ কি ইউরোকে সমর্থন যোগানোর মতো সংবাদ থাকবে? এমনটা নিশ্চিত নয়।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টবৃহস্পতিবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ঠিক একটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য 1.0797-1.0804 এরিয়ার দিকে পৌঁছেছিল এবং ছয় ঘন্টার জন্য এই রেঞ্জের ওপরে বা নিচে যেতে পারেনি। তবে শেষ পর্যন্ত মূল্য এই এরিয়ার উপরে উঠে যায়, যা লং পজিশনের জন্য একটি সিগন্যাল হতে পারে। সিগন্যালটি দিনের শেষের দিকে তৈরি হওয়ায়, ট্রেডটি শুক্রবার পর্যন্ত ওপেন করে রাখা যেতে পারে।
শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে, এক মাসের দরপতনের পরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশনে হতে পারে। অন্তত ইউরোর মূল্য বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য কিছু কারণ রয়েছে। আমরা মনে করি এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, তবে কারেকশন শক্তিশালী হবে না। মাঝারি-মেয়াদে আমরা এখনও এই পেয়ারের মূল্যের আরও নিম্নমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করছি।
শুক্রবারে, নতুন ট্রেডাররা গতকালের বাই সিগন্যালের ভিত্তিতে লং পজিশন বজায় রাখতে পারে। ধরা যাক—ইউরোর সহজে এবং দ্রুত বৃদ্ধি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা কম, তবে গতকাল আমরা দীর্ঘদিনের মধ্যে প্রথমবারের মতো একটি বাই সিগন্যাল পেয়েছি, এবং এই পেয়ারের মূল্য এক মাস ধরে নিম্নমুখী ছিল।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডারদের 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140 লেভেলগুলো পর্যবেক্ষণ করা উচিত। ইউরোজোনে শুক্রবারে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডিউরেবল গুডস অর্ডার এবং মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সংক্রান্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।