সোমবার, কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই নিম্নমুখী প্রবণতার সাথে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। তবুও, ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য তৃতীয়বারের মতো 1.2980 এর লেভেলে পৌঁছেছে, যা 1.3000 এর সাইকোলজিক্যাল লেভেলের কাছাকাছি অবস্থিত। এটি স্পষ্টভাবে এই ইঙ্গিত প্রদান করে যে এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের নিচে নামতে পারে এবং দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। এই প্রক্রিয়াটি শুধুমাত্র 1.3000 লেভেলের নিচে ব্রেক যাওয়ার পরে আরও নিম্নমুখী হওয়ার চেয়ে আরও জটিল হতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলটি ব্রেক করে যেতে পারে, তারপর একটি কারেকশনে হতে পারে, ট্রেন্ডলাইনের উপরে কনসলিডেট করতে পারে, এবং তারপর আবার দরপতন শুরু হতে পারে। তবে মার্কেটে বিরাজমান বিয়ারিশ প্রবণতার কথা অস্বীকার করা যায় না। সোমবার, যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল না। আজও তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই। এই পেয়ারের মূল্য তৃতীয়বারের মতো 1.2980 এর লেভেল থেকে রিবাউন্ড করতে পারে, তবে চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় এটি ব্রেক করে যেতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টসোমবার ৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে মাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতেই মূল্য 1.3043 এর লেভেল ব্রেক করে ফেলে, এরপর মূল্য আবার 1.2980-1.2993 এরিয়ায় ফিরে যায়। অতএব, নতুন ট্রেডাররা একটি সেল ট্রেড ওপেন করতে পারতেন, যা থেকে প্রায় ৫০ পিপস লাভ করা সম্ভব ছিল। আমরা 1.2980-1.2993 এরিয়া থেকে রিবাউন্ডের ভিত্তিতে ট্রেডিং করার পরামর্শ দেব না।
মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে এবং দরপতন অব্যাহত রয়েছে। আমরা মাঝারি মেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনকে পুরোপুরি সমর্থন করি, কারণ আমরা মনে করি এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল। নিকট ভবিষ্যতে, পাউন্ডের মূল্যের কিছুটা কারেকশন করার চেষ্টা করা হতে পারে, তবে এটি ঘটার জন্য, অন্ততপক্ষে মূল্যকে ট্রেন্ডলাইনের উপরে স্থিতিশীল হতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই, বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বিরাজ করছে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ও দ্রুতগামী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট আশা করা অবাস্তব বলে মনে হচ্ছে।
মঙ্গলবারও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে, কারণ ট্রেন্ডলাইনটি এখনও ব্রেক করা হয়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে থাকে, এই পেয়ারের ক্রয়ের সুযোগের বিষয়ে আলোচনা করা অপ্রাসঙ্গিক। এমনকি সেই পরিস্থিতিতেও, যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুধুমাত্র একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচিত হবে।
৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, বর্তমানে 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440 এর লেভেলের আশেপাশে ট্রেডিং করা যেতে পারে। মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা কম থাকতে পারে, তবে ট্রেডারদের কাছে এখনও যথেষ্ট প্রযুক্তিগত কারণ রয়েছে যা কেবলমাত্র সেগুলোর ভিত্তিতে ট্রেড করার জন্য যথেষ্ট।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।