২২ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণEUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার আবারও EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য নিখুঁতভাবে ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন থেকে রিবাউন্ড করে 1.0804 এর লেভেল এবং গত সপ্তাহের সর্বনিম্ন লেভেলে ফিরে আসে। অতএব, এখনও কোনো সংকেত নেই যা নির্দেশ করে যে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন শুরু হয়েছে। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে ইউরোর মূল্য নিম্নমুখী হচ্ছে, যা আমাদের অবাক করছে না। আমরা প্রায়ই উল্লেখ করেছি যে ইউরো যথেষ্ট ক্রয় করা হয়েছে এবং অন্যায্যভাবে এটির উচ্চ মূল্য বিরাজ করছে। যেমনটা আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটের ট্রেডাররা কোনো স্থানীয় কারণ বা ভিত্তি ছাড়াই প্রতিদিন ইউরো বিক্রি করছে। গতকাল ইউরোজোন বা যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন ছিল না। তবুও, এই পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন দেখা যেতে পারে, তবে এটি শুধুমাত্র মূল্য ট্রেন্ডলাইনের উপরে স্থির হলে সনাক্ত করা যাবে। তবুও, এই পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা নিশ্চিত নয়, বিশেষ করে মার্কেটের বর্তমান বিয়ারিশ প্রবণতার মধ্যে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

সোমবার ৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য 1.0845-1.0851 এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করার চেষ্টা করেছিল, তবে এটি আগেই ট্রেন্ডলাইন থেকে রিবাউন্ড করেছিল। তাই, বাই ট্রেড ওপেন করা উচিত ছিল না। এরপর, এই পেয়ারের মূল্য নির্দিষ্ট রেঞ্জটি ব্রেক করে ফেলে, যা শর্ট পজিশন ওপেন করার সিগন্যাল দেয়। দিনের শেষ পর্যন্ত এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত ছিল, ফলে যে কোনো সময় ট্রেড ক্লোজ করে লাভ নেওয়া সম্ভব হয়েছিল।

মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার গঠনের প্রথম ধাপ দেখা যাচ্ছে। এখন, এই ধাপটিকে অনেকটা একটি লাফের মতো মনে হচ্ছে। শীঘ্রই এই পেয়ারের মূল্যের একটি কারেকশন শুরু হতে পারে, তবে এর কোনো সংকেত এখনও দেখা যায়নি। কারেকশন ছাড়াই ইউরোর আরও দরপতনের আশা করা যায়, কারণ এটি এখনও অত্যন্ত বেশি ক্রয় করা হয়েছে, যদিও একটি কারেকশন মার্কেটকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ করতে পারে।

মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা ট্রেন্ডলাইন এবং 1.0804 এর লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারেন। শর্ট পজিশন বর্তমানে অনেক বেশি সুবিধাজনক বলে মনে হচ্ছে।

৫-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, ট্রেড করার জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, and 1.1189-1.1191। মঙ্গলবার, যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে না বা কোন প্রতিবেদনের প্রকাশনাও নির্ধারিত নেই। তবে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড ইইউ-তে দুটি বক্তব্য দেবেন। আমরা মনে করি লাগার্ড নতুন বা গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলবেন না, কারণ গত সপ্তাহেই ইসিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।