GBP/USD: মার্কিন সেশনের জন্য ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা (সকালের ট্রেডের পর্যালোচনা), ২১ অক্টোবর।

আমার সকালের পূর্বাভাসে আমি 1.3021 লেভেলের উপর গুরুত্ব দিয়েছিলাম এবং এর উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলাম। আসুন 5-মিনিটের চার্টটি দেখে নেই এবং কী ঘটেছিল তা বিশ্লেষণ করি। এই লেভেলের দিকে দরপতন এবং 1.3021 এর আশেপাশে একটি ফলস ব্রেকআউটের গঠন পাউন্ড ক্রয়ের জন্য একটি উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট প্রদান করেছিল, কিন্তু চার্টে যেমনটি দেখা যাচ্ছে, এটি এই পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের দিকে পরিচালিত করতে পারেনি। দিনের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য এই পেয়ারের টেকনিক্যাল পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের লং পজিশন ওপেন করার জন্য:

এটি স্পষ্ট যে, কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক পরিসংখ্যান প্রকাশিত না হওয়ায় এবং 1.3021 এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের মাঝামাঝি ট্রেডিং হওয়ায় ট্রেডাররা অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য করছে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে পরিস্থিতির সেরকম পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য লিডিং ইনডিকেটর ইনডেক্স মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। FOMC-এর সদস্য লোরি কে. লোগান এবং নীল কাশকারির বক্তব্যে ভবিষ্যৎ আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে কিছু ইঙ্গিত দেয়া হতে পারে, তবে নতুন কোন তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তাই আমি আশা করছি যে সাইডওয়েজ চ্যানেলের ভেতরে এই পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত থাকবে। যদি এই পেয়ারের মূল্য কমে যায়, তবে আমি কেবল 1.3021 সাপোর্টের আশেপাশে একটি ফলস ব্রেকআউট গঠিত হলে পদক্ষেপ নেব। লক্ষ্যমাত্রা 1.3067 এর রেজিস্ট্যান্সে অপরিবর্তিত থাকবে। এই রেঞ্জের ব্রেকআউট এবং ডাউনওয়ার্ড রিটেস্ট এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ কারেকশনের সম্ভাবনাকে শক্তিশালী করবে, যা বিক্রেতাদের স্টপ অর্ডারগুলোকে অপসারণ করতে বাধ্য করবে এবং এই পেয়ার ক্রয়ের জন্য একটি উপযুক্ত এন্ট্রি পয়েন্ট প্রদান করবে, যার ফলে মূল্য 1.3098 পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। এই লেভেলের টেস্ট হলে সেটি বিক্রেতাদের পাউন্ডের আরও দরপতনের পরিকল্পনাকে ব্যাহত করবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা 1.3131 এরিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত, যেখানে আমি টেক প্রফিট সেট করার পরিকল্পনা করছি। যদি GBP/USD পেয়ারের মূল্য কমে যায় এবং দিনের দ্বিতীয়ার্ধে 1.3021 এর আশেপাশে কোনো বুলিশ কার্যকলাপ না দেখা যায়, তবে এই পেয়ারের বিয়ারিশ প্রবণতা পুনরায় শুরু হবে। এটি এই পেয়ারের মূল্যকে আরও নিম্নমুখী করতে পারে, যার ফলে পরবর্তীতে সাপ্তাহিক নিম্ন লেভেল এবং 1.2976 এর সাপোর্টের রিটেস্ট হতে পারে। কেবলমাত্র সেখানে একটি ফলস ব্রেকআউট গঠিত হলে লং পজিশন ওপেন করার উপযুক্ত শর্ত পাওয়া যাবে। আমি দিনের মধ্যে 30-35 পয়েন্টের কারেকশনের লক্ষ্যে 1.2941 লেভেল থেকে বাউন্সের ক্ষেত্রে GBP/USD পেয়ার ক্রয় করব।

GBP/USD পেয়ারের শর্ট পজিশন ওপেন করার জন্য:

বিক্রেতারা চেষ্টা করলেও মার্কেটে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রভাব বিস্তার করতের পারেনি। মার্কেটের প্রধান ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি হ্রাস পেয়েছে। বিক্রেতাদের প্রধান লক্ষ্য হল মূল্যের 1.3067 এর রেজিস্ট্যান্স ধরে রাখা, যেখানে একটি ফলস ব্রেকআউটের গঠন এই পেয়ার বিক্রির জন্য একটি ভালো সুযোগ প্রদান করতে পারে, যার ফলে মূল্য 1.3021 সাপোর্ট লেভেলের দিকে নেমে যেতে পারে, যা সাইডওয়েজ চ্যানেলের মাঝখানে অবস্থিত। মুভিং এভারেজগুলোও এই এরিয়ায় অবস্থান করছে। অতএব, এই রেঞ্জ ব্রেক করে মূল্য নিচের দিকে গেলে এবং পরে নিচ থেকে উপরে রিটেস্ট মার্কেটে বিক্রেতাদের অবস্থানকে দুর্বল করবে, যার ফলে স্টপ অর্ডারগুলো অপসারিত হবে এবং 1.2976 এর লক্ষ্যমাত্রার দিকে মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা 1.2941 এরিয়ার কাছাকাছি অবস্থিত, যেখানে আমি টেক প্রফিট সেট করার পরিকল্পনা করছি। এই লেভেলের টেস্ট বিয়ারিশ প্রবণতাকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। যদি দিনের দ্বিতীয়ার্ধে GBP/USD পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং 1.3067 এর আশেপাশে কোনও বিক্রয় কার্যকলাপ না থাকে, তবে ক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করবে। সেই ক্ষেত্রে, বিক্রেতাদের মনোযোগ পরবর্তী রেজিস্ট্যান্স 1.3098 এর দিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। আমি কেবলমাত্র একটি ফলস ব্রেকআউটের পরে সেখানেও বিক্রি করব। সেখানে নিম্নমুখী মুভমেন্ট না থাকলে, আমি দিনের মধ্যে 30-35 পয়েন্টের কারেকশনের লক্ষ্য 1.3131 এর আশেপাশে শর্ট পজিশন ওপেন করার জন্য অপেক্ষা করব।

8 অক্টোবরের COT রিপোর্টে (কমিটমেন্ট অফ ট্রেডার্স) লং এবং শর্ট পজিশনের হ্রাস পরিলক্ষিত হয়েছে। যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের ফলাফল পাউন্ডের মূল্যের বৃদ্ধি করতে পারেনি, তবে এটি কমপক্ষে এই পেয়ারের মূল্যকে একটি উল্লেখযোগ্য সাইডওয়েজ চ্যানেলের ভেতরে রাখতে পেরেছে, যা শেষ পর্যন্ত মার্কেটে বিয়ারিশ প্রবণতার সমাপ্তি এবং একটি নতুন বুলিশ প্রবণতা গঠনের দিকে পরিচালিত করতে পারে। তবে এটি ঘটার জন্য, মার্কিন নীতিনির্ধারকদের আবার সক্রিয়ভাবে সুদের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করতে হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। সর্বশেষ COT রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে লং নন-কমার্শিয়াল পজিশন 3,803 কমে 157,666 হয়েছে, যখন শর্ট নন-কমার্শিয়াল পজিশন 3,173 কমে 64,531 হয়েছে। ফলস্বরূপ, লং এবং শর্ট পজিশনের মধ্যে পার্থক্য বেড়ে 2,840 হয়েছে।

সূচকসমূহের সংকেত:

মুভিং এভারেজ

বর্তমানে 30 এবং 50-দিনের মুভিং এভারেজের আশেপাশে ট্রেডিং করা হচ্ছে, যা একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেডিংয়ের সম্ভাবনা নির্দেশ করে।

দ্রষ্টব্য: লেখক H1 বা এক ঘন্টার চার্টে মুভিং এভারেজের পিরিয়ড এবং মূল্য বিবেচনা করেছেন এবং এটি D1 দৈনিক চার্টে প্রচলিত দৈনিক মুভিং এভারেজের সাধারণ সংজ্ঞা থেকে আলাদা।

বলিঙ্গার ব্যান্ড

দরপতনের ক্ষেত্রে, প্রায় 1.3021 এর কাছাকাছি অবস্থিত এই সূচকের নিম্ন সীমা সাপোর্ট হিসাবে কাজ করবে।

সূচকসমূহের বর্ণনা:

মুভিং এভারেজ: একটি মুভিং এভারেজ যা ভোলাট্যালিটি এবং নয়েজ স্মুথ করে বর্তমান প্রবণতা সনাক্ত করে। পিরিয়ড 50. চার্টে হলুদ রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে।মুভিং এভারেজ: একটি মুভিং এভারেজ যা ভোলাট্যালিটি এবং নয়েজ স্মুথ করে বর্তমান প্রবণতা সনাক্ত করে। পিরিয়ড 30. চার্টে সবুজ রঙ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।MACD সূচক: (মুভিং এভারেজ কনভারজেন্স/ডাইভারজেন্স): ফাস্ট EMA পিরিয়ড 12. স্লো EMA পিরিয়ড 26. SMA পিরিয়ড 9।বলিঙ্গার ব্যান্ডস: পিরিয়ড 20।নন-কমার্শিয়াল ট্রেডার: স্পেকুলেটর যেমন স্বতন্ত্র ট্রেডার, হেজ ফান্ড, এবং বৃহৎ প্রতিষ্ঠান যা অনুমানমূলক উদ্দেশ্যে ফিউচার মার্কেট ব্যবহার করে এবং নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা পূরণ করে।লং নন-কমার্শিয়াল পজিশন: নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের ওপেন করা মোট লং পজিশনের প্রতিনিধিত্ব করে।শর্ট নন-কমার্শিয়াল পজিশন: নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের ওপেন করা মোট শর্ট পজিশনের প্রতিনিধিত্ব করে।মোট নন-কমার্শিয়াল নেট পজিশন: নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের শর্ট এবং লং পজিশনের মধ্যে পার্থক্য।