২১ অক্টোবর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

শুক্রবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সামান্য কারেকশন দেখা গিয়েছিল, তবে এই পেয়ারের মূল্য গত দুই সপ্তাহ ধরে কাছাকাছি থাকা ট্রেন্ডলাইনের উপরে উঠতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে, আমরা এখনও বলতে পারছি না যে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে। শুক্রবারে আমরা কেবল একটি ক্ষুদ্র পুলব্যাক দেখেছি। ট্রেন্ডলাইন থেকে এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ডের ফলে একটি নতুন নিম্নমুখী মুভমেন্টের সূচনা হতে পারে। আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি যে আমরা মাঝারি মেয়াদে কেবল ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার আশা করছি। অবশ্যই, একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন আরও যৌক্তিক এবং সহজবোধ্য হবে, তবে কারেকশনের প্রয়োজন মানেই যে তা অবিলম্বে শুরু হবে এমন নয়। হ্যাঁ, ইউরো গত তিন সপ্তাহ ধরে দরপতনের শিকার হচ্ছে—তাতে কি আসে যায়? এটি আরও তিন সপ্তাহ ধরে দরপতনের শিকার হতে পারে, কারণ এটি উল্লেখযোগ্যভাবে অতিরিক্ত ক্রয় করা হয়েছে। শুক্রবার, ইউরোজোনে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি মাত্র স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে যা মার্কেট সেন্টিমেন্টের উপর তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

শুক্রবার 5-মিনিটের টাইম ফ্রেমে, 1.0845-1.0851 এরিয়ার আশেপাশে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্যের মোট দৈনিক ভোলাটিলিটি ছিল 43 পিপস, তাই ট্রেডিং করার তেমন কোন মানে ছিল না। এমনকি যদি শক্তিশালী সিগন্যাল তৈরি হতো, সারাদিন ধরে সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ লেভেলের মধ্যে মাত্র 43 পিপসের মুভমেন্ট হলে কতটা লাভ আশা করা যায়?

সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতার গঠনের প্রথম ধাপ দেখা যাচ্ছে। এখন, এই ধাপটিকে অনেকটা একটি লাফের মতো মনে হচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, মধ্যমেয়াদে আবার অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি শুরু হতে পারে, কেননা কেউ জানে না মার্কেটের ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ দ্বারা প্রভাবিত হতে থাকবে। তবে, এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। কারেকশন ছাড়াই ইউরোর আরও দরপতন আশা করা যেতে পারে, কারণ এটি এখনও অত্যন্ত বেশি ক্রয় করা হয়েছে। তবে, কারেকশন ঘটলে প্রযুক্তিগতভাবে পরিস্থিতি আরও আকর্ষণীয় হবে।

সোমবার, নতুন ট্রেডাররা ট্রেন্ডলাইন থেকে ট্রেড করতে পারে, তবে মনে রাখতে হবে যে বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি খুব কম, যার ফলে প্রতি ট্রেডে 15-20 পিপসের বেশি মুভমেন্টের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা কঠিন হবে।

আজ ট্রেড করার জন্য 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191 লেভেলগুলো বিবেচনা করুন। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। সম্ভবত, আমরা আরেকটি "শান্ত সোমবার" দেখতে পাব।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।