মঙ্গলবার, ডিসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের উপরে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কনসোলিডেশন হয়েছে, তবে সামগ্রিকভাবে গত দুই সপ্তাহ ধরে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে ফ্ল্যাট হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে। উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে 1.3043 এবং 1.3107 এর মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে। সুতরাং, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মধ্যে ট্রেন্ডলাইনের উপরে মূল্যের কনসোলিডেশনটি তেমন কোনো শক্তিশালী বাই সিগন্যাল হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। আজকের পরিস্থিতি পুরোটাই যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে। মনে হচ্ছে মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করছে কারণ এই সপ্তাহে আর উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ইভেন্ট নেই। যদি দেশটির মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কমে যায়, তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের আরও দরপতনের প্রত্যাশা হচ্ছে, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে দ্বিতীয়বারের মতো মূল সুদের হার কমানোর দিকে নিয়ে যাবে। এই পেয়ারের মূল্যের একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের সম্ভাবনা আছে, তবে এর জন্য 1.3107 লেভেলের উপরে মূল্যের কনসোলিডেশন হওয়া প্রয়োজন। আমরা যেমনটি উল্লেখ করেছি, আজ আবার এই পেয়ারের দরপতন শুরু হতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টমঙ্গলবার, 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে (TF) এই পেয়ারের বেশ কার্যকর দুটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। প্রথমত, মূল্য 1.3043 লেভেল থেকে (ফ্ল্যাট রেঞ্জের নিম্ন সীমানা) এবং তারপর 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে (ফ্ল্যাট রেঞ্জের উপরের সীমানা) বাউন্স করেছে। ফলে, নতুন ট্রেডাররা পাউন্ড কিনতে এবং বিক্রি করতে সক্ষম হয়েছে। স্বল্প মাত্রার ভোলাটিলিটি থাকা সত্ত্বেও, উভয় ট্রেড থেকেই প্রায় 50 পিপস আয় করা সম্ভব ছিল।
বুধবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটে মূল্য নিম্নমুখী হয়েছে এবং দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বহুল প্রতীক্ষিত মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে, তবে এই পেয়ার বিক্রির ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ গত তিন সপ্তাহে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের কোনো কারেকশন হয়। আপাতত, এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হওয়ার ন্যূনতম কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা সম্পূর্ণভাবে মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনার সমর্থন করছি, কারণ আমাদের মতে এটিই একমাত্র যৌক্তিক পরিস্থিতি।
বুধবার, আমরা আবারও এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট ছাড়া আর কোন কিছুরই আশা করছি না। নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মধ্যে ট্রেন্ডলাইন বা লেভেলের ব্রেক খুবই দুর্বল সিগন্যাল হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও, বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটিও খুব কম।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, আপনি 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, 1.3537 লেভেলগুলো ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন। বুধবার, সপ্তাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনটি মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে মুভমেন্টের দিক এই প্রতিবেদনের ফলাফলের উপর নির্ভর করবে, যা আগে থেকে অনুমান করা যায় না।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।