মঙ্গলবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে জার্মানির শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এটি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নয়, তাই এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে দুর্বল প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে বা কোন প্রতিক্রিয়া নাও দেখা যেতে পারে। সামগ্রিকভাবে, গত সপ্তাহে ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্য হ্রাস পেয়েছে, তাই এই সপ্তাহে (বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমি ছাড়া দিনগুলোতে), মার্কেটে ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা যেতে পারে। এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য বিশেষভাবে প্রযোজ্য, যা 2024 সালে ইউরোর তুলনায় ডলারের বিপরীতে অনেক কম দরপতনের শিকার হয়েছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:সোমবারের প্রধান মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি রাফেল বস্টিক, সুসান কলিন্স এবং ফিলিপ জেফারসনের বক্তৃতা রয়েছে। এগুলো আকর্ষণীয় হতে পারে, কারণ এই কর্মকর্তারা গত শুক্রবারের বেকারত্ব এবং ননফার্ম পে-রোল সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের ব্যাপারে মন্তব্য করতে পারেন৷ আমরা সম্ভবত এমন বিবৃতি শুনতে পাব যে ফেডের পরবর্তী বৈঠকে আক্রমনাত্মকভাবে মুদ্রানীতি নমনীয় করার প্রয়োজন হবে না। যাইহোক, নভেম্বরে ফেডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে চূড়ান্ত মূল্যায়ন করার আগে ট্রেডাররা সম্ভবত মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করবে। ইউরোজোনে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুইস ডি গুইন্ডোস বক্তৃতা দেবেন, যা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, কারণ সম্প্রতি ইসিবির প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
উপসংহার:নতুন সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের কারেকশন শুরু হতে পারে। যদি গতকাল মার্কেটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত শুক্রবারের শ্রমবাজার এবং বেকারত্বের সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া অব্যাহত থাকে, তাহলে সেই প্রভাব আজ হ্রাস পেতে পারে। মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের আগে মৌলিক পটভূমিতে তেমন কিছু থাকবে না। মাঝারি মেয়াদে ডলারের মূল্য বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এটি প্রতিদিন কারেকশন বা দরপতন এড়াতে পারবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল: সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন: লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD সূচক: MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
ফরেক্স মার্কেটে নতুন ট্রেডারদের জন্য: নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।