২৭ সেপ্টেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী মোমেন্টাম পরিলক্ষিত হয়েছে। মনে করে দেখুন যে বুধবার কোন কারণ না থাকা সত্ত্বেও এই পেয়ারের তীব্র দরপতন ঘটেছে। আমরা তখন উল্লেখ করেছিলাম যে এই দরপতন কোন ব্যাপারে নয় এবং পরের দিন এই পেয়ারের মূল্য আবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করতে পারে। এবং অবিকলভাবে তাই ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল সত্ত্বেও ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আবার বৃদ্ধি পেতে সক্ষম হয়েছে, যা মার্কিন অর্থনীতির ইতিবাচক পরিস্থিতি নির্দেশ করে। পরে, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল একটি বক্তৃতা দিয়েছেন কিন্তু তিনি আর্থিক নীতিমালা সম্পর্কে কোন কথা বলেননি। তাই, আবারও, আমরা ভাবছি কেন ডলারের দরপতন হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল, এবং পাওয়েল সুদের হার বা আর্থিক নীতিমালার সম্ভাবনা সম্পর্কে কিছু বলেননি। যাইহোক, আমরা দেখতে পাচ্ছি, মার্কেটের ট্রেডারদের মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করার জন্য শুধুমাত্র যেকোন একটি অজুহাত প্রয়োজন।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3365 লেভেলের উপরে কনসলিডেট হয় এবং এক ঘন্টা পরে, এটি উপরে থেকে এই লেভেল থেকে খুব ভুলভাবে বাউন্স করে। বাউন্সের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছিল বলে সিগন্যালটিকে ভুল হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যাইহোক, নতুন ট্রেডাররা এই দুটি সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে লং পজিশন এন্ট্রি করতে পারত, বিশেষ করে যেহেতু পাউন্ড যতটা না দরপতনের শিকার হয় তার চেয়ে এটির মূল্য অনেক বেশি বেড়ে যায়। কয়েক ঘন্টার মধ্যে, মূল্য 1.3417-1.3440 এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স জোনে পৌঁছেছে, যেখানে মুনাফা নেওয়া যেতে পারে।

শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, নতুন কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বেও আবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্য বাড়ছে। এই মুহূর্তে অস্থিরতার মাত্রা নিয়ে কোন সমস্যা নেই, তাই ট্রেডাররা অস্তিত্বহীন মুভমেন্ট দেখার পরিবর্তে অন্তত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড ওপেন করতে পারছে। যাইহোক, এই মুভমেন্টের যৌক্তিকতা নিয়ে এখনও উল্লেখযোগ্য সমস্যা রয়েছে। সমস্ত কারণ ডলারের পক্ষে থাকা সত্ত্বেও আমরা এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি পেতে দেখতে পাচ্ছি। এই পেয়ারের মূল্যের ন্যূনতম কারেকশন সম্ভাবনাও নেই।

শুক্রবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, কারণ এজন্য কোনো কারণের প্রয়োজন নেই। অতএব, আবার নিকটতম লেভেল এবং এরিয়ার উপর ভিত্তি করে এই পেয়ারের ট্রেডিং করতে হবে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমের মধ্যে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোর উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা যেতে পারে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3428-1.3440, 1.3488, 1.3537। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, যেমন পিসিই সূচক এবং ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে মার্কেটে মাঝারি মাত্রার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে কিন্তু এগুলোর ফলাফলের ডলারকে সমর্থন যোগানোর সম্ভাবনা নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।