২৬ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের পর্যালোচনা

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

বৃহস্পতিবার খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে বিবেচনা করার মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান ও সেইসাথে টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত। এটা লক্ষণীয় যে শুধুমাত্র পূর্বাভাসের তুলনায় এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের বিচ্যুতি দেখা গেলে মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত প্রতিক্রিয়া দেখাবে। অন্যথায়, এই প্রতিবেদনগুলো উপেক্ষা করা হতে পারে। মার্কিন ডলার সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে সমর্থন পাবে এর উপর নির্ভর করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং বলে মনে হচ্ছে, কারণ পূর্ববর্তী জিডিপি প্রতিবেদনে ধারাবাহিকভাবে ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে, তবুও এটি ডলারের উপর কোন প্রভাব ফেলেনি। একই কথা টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা:

বৃহস্পতিবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার কথা আলাদা করে উল্লেখ করা যায়। এই ইভেন্টগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নতুন করে বলার দরকার নেই। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সর্বশেষ বৈঠক অল্প কিছুদিন আগেই অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাই আর্থিক নীতি বা গৃহীত অবস্থানের পরিবর্তন সংক্রান্ত পরিকল্পনা সম্পর্কে কোন কিছু ব্যক্ত করা হবে না বলে হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে পাওয়েলের বিবৃতির জন্য আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছে, তারা সাগ্রহে পাওয়েলের ডোভিশ অবস্থানের নিশ্চিতকরণ করতে চাইছে। তাই আজ মার্কিন ডলার আবারও চাপের মুখে পড়তে পারে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষদিনের ট্রেডিংয়ে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের সামান্য কারেকশনের পরে ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে; গতকাল, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের কারেকশন দেখা গেছে। অতএব, আজ নতুন করে দর বৃদ্ধির আশা করা যেতে পারে। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল থেকে ডলার সমর্থন পাবে সেই অনুমান করা কঠিন, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত পাওয়েলের বক্তৃতায় হকিশ অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিতের পরিবর্তে ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিতের সন্ধান করবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।