বুধবার GBP/USD পেয়ারেরও উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা গিয়েছে, যা আশ্চর্যজনক বলে মনে হচ্ছে। একদিকে, এমনকি পাউন্ডের মূল্যেরও মাঝে মাঝে কারেকশন করা প্রয়োজন; উপরের চিত্রে দেখা যাচ্ছে যে এমনকি গতকালের 100-পিপসের দরপতনকেও "শক্তিশালী" বলা যাবে না। অন্যদিকে, ব্রিটিশ মুদ্রার এই দরপতন আজ পুষিয়ে নেয়া হতে পারে, কারণ মার্কিন ডলার বিক্রি করার জন্য মার্কেটের ট্রেডারদের কোনো কারণ বা যুক্তির প্রয়োজন নেই।
আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে, এবং ট্রেডাররা সহজেই পাওয়েলের বক্তব্যকে মার্কিন মুদ্রার জন্য প্রতিকূলভাবে ব্যাখ্যা করতে পারে। 2024 সালে ট্রেডাররা ঠিক তাই করছে। ডলারের জন্য যেকোন ইতিবাচক বা হকিশ সংবাদ উপেক্ষা করা হয়, যখন নেতিবাচক বা ডোভিশ সংবাদ দ্বিগুণ উদ্যোগের সাথে কাজ করা হয়। ফলে, ট্রেডাররা সহজেই পাওয়েলের বক্তৃতা থেকে প্রয়োজনীয় ডোভিশ সংকেত খুঁজে পেতে পারে যাতে প্রভাবিত হয়ে ট্রেডাররা আবার ডলার বিক্রি করতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টবুধবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে তিনটি বেশ কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, মূল্য 1.3417 লেভেলের নিচে স্থির হয়, যা 1.3365-এ দরপতনের সূত্রপাত করে। তারপরে, মূল্য এই লেভেল থেকে বাউন্স করে কিন্তু অল্পের জন্য মূল্য 1.3417 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি। পরে, এই পেয়ারের মূল্য 1.3365 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয় এবং আরও 40 পিপস কমে যায়। ফলে, নতুন ট্রেডাররা তিনটি ট্রেড ওপেন করতে পারত, যার প্রতিটি থেকেই কিছু লাভ করা যেতে পারত।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে, যদিও এর কোনো ভিত্তি নেই। এই সপ্তাহে, তেমন কোন সংবাদ এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তবুও পাউন্ডের মূল্য সক্রিয়ভাবে প্রথম দুই দিনে বেড়েছে এবং বুধবার তীব্রভাবে কমেছে। সাধারণভাবে, এই মুহূর্তে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা নয়ে অবশ্যই কোন সমস্যা নেই। একমাত্র সমস্যা রয়েছে ব্রিটিশ মুদ্রার ক্রমাগত দর বৃদ্ধির পিছনে যৌক্তিকতা নিয়ে।
বৃহস্পতিবার, পুনরায় পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু করতে পারে। গতকাল, এটির 100 পিপসের মতো দরপতন হয়েছে এবং আজ, ভিত্তিহীনভাবে আবার এই পেয়ার ক্রয় করা শুরু হতে পারে। যাই হোক না কেন, ট্রেন্ডলাইনের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার পরেই এই পেয়ার বিক্রির কথা বিবেচনা করা এবং দরপতনের আশা করা যুক্তিসঙ্গত হবে।
5 মিনিটের টাইমফ্রেমের মধ্যে, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3417-1.3440, 1.3488, এবং 1.3537 লেভেলে ট্রেড করা যেতে পারে। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপি এবং টেকসই পণ্যের অর্ডার সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং পাওয়েলের বক্তব্যও অনুষ্ঠিত হবে। দিনের শেষার্ধে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী এবং অপ্রত্যাশিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।