মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় ছিল, কিন্তু এক্ষেত্রে ব্রিটিশ পাউন্ডের নিজস্ব প্রবণতা রয়েছে। যদিও ইউরো মাঝে মাঝে মূল্য বৃদ্ধি প্রদর্শনে বিরতি নেয় এবং কারেকশন করে, পাউন্ডের মূল্য স্থিরভাবে প্রতিদিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এই ধরনের মুভমেন্টে যে কোন যৌক্তিকতা নেই তা আর কতবার উল্লেখ করব? যাইহোক, আপনি মার্কেটের প্রধান ট্রেডারদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, এবং তারা ক্রমাগতভাবে এই পেয়ারের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করছে। প্রযুক্তিগতভাবে, পরিস্থিতি বেশ আকর্ষণীয় বলে মনে হচ্ছে। চার্টে স্পষ্টভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, এবং এই পেয়ারের মূল্য প্রায় প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুতরাং, যদি আপনি সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করেন, তাহলেই ট্রেড করা তুলনামূলকভাবে সহজ হবে। যাইহোক, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য কেন প্রায় প্রতিদিন বাড়ছে তা ব্যাখ্যা করা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। গতকাল যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট, তাই এটা স্পষ্ট যে আমরা যা দেখেছি তা কোনো কিছুর প্রতিক্রিয়া ছিল না। মার্কেটের ট্রেডাররা পাউন্ডের ক্রয় অব্যাহত রেখেছে, এবং এটাই শেষ কথা।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টমঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে 1.3365 লেভেলের আশেপাশে পাঁচটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই লেভেল থেকে দুটি বাউন্স ছিল, যা সামান্য নিম্নমুখী কারেকশনের সুযোগ দেয়। যাইহোক, বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা পাউন্ড বিক্রি করতে বা লং পজিশনে মুনাফা নিতে আগ্রহী নয়, তাই মূল্য 1.3365 এর লেভেল অতিক্রম করেছিল, এবং মূল্য উপরে থেকে আরও দুবার এই লেভেল থেকে বাউন্স হয়েছে। সেল ট্রেডটি অলাভজনক ছিল এবং এটি স্টপ লসে ক্লোজ হয়েছে, যখন বাই ট্রেড থেকে প্রায় 40 পিপস লাভ করা গেছে।
বুধবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, GBP/USD পেয়ার বেশ "সংগ্রামে" করেই কয়েক সপ্তাহ অতিবাহিত করেছে, এমনকি সামান্য কারেকশন করারও চেষ্টা করেছে। কিন্তু এটা কাজ করেনি। ফলস্বরূপ, মার্কেটের ট্রেডাররা আগে থেকেই ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর তারা আবার একই ইভেন্টের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ নির্বিশেষে ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য আবার বাড়ছে। এই ধরনের ব্যাখ্যাতীত মুভমেন্ট কতদিন চলবে তা অজানা রয়ে গেছে।
বুধবার,পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে কারণ এই ধরনের অযৌক্তিক মুভমেন্ট থামানোর মতো কিছু কী আছে? মার্কেটের ট্রেডাররা পাউন্ড ক্রয় করছে, তাহলে কি কারণে পাউন্ডের দরপতনের ঘটবে? এই পেয়ারের মূল্য 1.3417-1.3440 এর রেজিস্ট্যান্স এরিয়ায় পৌঁছেছে, কিন্তু কেউ কি মনে করে যে এই রেজিস্ট্যান্স জোন পাউন্ডের মূল্যের অবিরত বৃদ্ধিকে থামাতে পারে?
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলোতে ট্রেড করা যেতে পারে: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3365, 1.3417-1.3440, 1.3488, and 1.3537। বুধবার যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে এতে কিছু আসে যায় না। মার্কেটের ট্রেডাররা যেকোন পরিস্থিতি নির্বিশেষে পাউন্ডের ক্রয় চলমান রাখতে পারে। এই দর বৃদ্ধির প্রক্রিয়ায় বিরতির সম্ভাবনাও রয়েছে, তবে এই পেয়ারের উল্লেখযোগ্যভাবে দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।