মঙ্গলবার থেকে ধীরে ধীরে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়েছে। আসুন স্মরণ করি যে গতকাল, আমরা একটি হরিজন্টাল চ্যানেলের কথা উল্লেখ করেছি যেখানে গত সপ্তাহে এই পেয়ারের ট্রেডিং হয়েছিল। যাইহোক, আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মার্কেটের ট্রেডারদের এই পেয়ার ক্রয়ের ইচ্ছা অদৃশ্য হয়ে যায়নি। গতকাল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোজোনে কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি। জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট ইনডেক্সের ফলাফলের (সূচকটি প্রত্যাশার চেয়ে কম ছিল) কারণে ইউরোর মূল্য 65 পিপস বেড়েছে এটি বলাটা অযৌক্তিক হবে। অতএব, কোন কারণ ছাড়াই ইউরোর মূল্য আবার বেড়েছে। আমরা 2024 সালের শুরু থেকে এই ধরনের পরিস্থিতি সম্পর্কে নিয়মিতভাবে উল্লেখ করে আসছি। মার্কেটের ট্রেডাররা ডলারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সৃষ্টি করতে পারে এমন কারণগুলো এবং ফেডারেল রিজার্ভের ডোভিশ অবস্থান বিবেচনা করে অন্য সব কিছু উপেক্ষা করছে। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সম্পূর্ণ অযৌক্তিক হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টমঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য 1.1132-1.1140 এরিয়ার আশেপাশে বিপরীতমুখী হওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং এটি বেশ যৌক্তিক ও যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হয়েছিল। যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডারদের ইউরো ক্রয়ের ক্রমাগত আকাঙ্ক্ষার কারণে এই পেয়ারের মূল্য মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে এই জোনের উপরে কনসলিডেট হয়েছে। তারপর মূল্য বেড়ে 1.1189-1.1191 এর পরবর্তী এরিয়ায় পৌঁছেছে। সুতরাং, নতুন ট্রেডাররা প্রথমে একটি শর্ট পজিশন এবং তারপরে একটি লং পজিশন ওপেন করতে পারত। শর্ট পজিশন থেকে কিছুটা লোকসান হলেও লং পজিশনে লাভ বেশি হয়েছে।
বুধবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে, এখনও এই পেয়ারের মূল্য়ের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের সুযোগ রয়েছে, কিন্তু এই সম্ভাবনাগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটে মাঝারি মেয়াদে সহজেই অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি চলমান থাকতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের বিষয়টি উপেক্ষা করবে। মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন মুদ্রাকে সমর্থন করতে পারে এমন কারণগুলোর প্রতি কোন মনোযোগ না দিয়ে ফেডের ভবিষ্যত সুদের হার হ্রাসের সম্ভাবনার উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য নির্ধারণ করে চলেছে৷
বুধবার, আমরা একটি নিম্নমুখী কারেকশন ছাড়া আর কিছুই আশা করতে পারি না। ইউরো অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে, কিন্তু এটির দর বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। 1.1191 লেভেল থেকে কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না, তাই সপ্তাহের শেষে মূল্য 1.1275 লেভেলের দিকে যেতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132-1.1140, 1.1189-1.1191, and 1.1275-1.1292। বুধবার, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। যাইহোক, গতকাল, মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও প্রমাণ করেছে যে তারা কোনও সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ছাড়াই ইউরো কিনতে এবং ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।