২৪ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের পর্যালোচনা

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

মঙ্গলবার কোনো উল্লেখযোগ্য সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের প্রকাশনা নির্ধারিত নেই। দিনের একমাত্র কিছুটা উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে IFO ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিতব্য জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট সূচকের কথা বলা যেতে পারে এই৷ আমাদের মতে, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়ার আশা না করা ভাল - যদি কোনো প্রতিক্রিয়া থেকেও থাকে, তবে তা সম্ভবত ন্যূনতম হবে। ফলে, আজ, মার্কেটে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে না। ইউরোর মূল্য সম্ভবত 1.1091-1.1191 এর হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকবে, যখন পাউন্ডের মূল্যের হয় ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে বা 1.3365 লেভেলের কাছাকাছি মূল্য বৃদ্ধিতে বিরতি নেয়া হতে পারে।

মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা:

মঙ্গলবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। ইউরোজোনে, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির প্রতিনিধি ম্যাককল একটি বক্তৃতা দেবেন, কিন্তু গত দেড় সপ্তাহ ধরে, আমরা সম্ভবত প্রায় ইসিবির কমিটির সকল সদস্যদের কাছ থেকে মুদ্রানীতি নিয়ে তাদের মতামত শুনেছি। অতএব, ম্যাককল আজ কোন নতুন তথ্য প্রদান করবে এমন সম্ভাবনা কম।

উপসংহার:

মঙ্গলবার, ইউরোর মূল্য হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে থাকতে পারে, যখন পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও ইউরো দর বৃদ্ধি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিরতি নেয়, তবে পাউন্ড তা করতে সক্ষম হবে বলে মনে হয় না। যাইহোক, এমনকি ইউরোর মূল্যের স্থানীয় উচ্চতায় অবস্থান করলেও, এটি সঠিক কারেকশনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না। সুতরাং, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে বর্তমানে খুব কমই যৌক্তিকতা রয়েছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।