২৩ সেপ্টেম্বর কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দিতে হবে? নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক ইভেন্টের পর্যালোচনা

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

সোমবার বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত হয়েছে, কিন্তু সেগুলোর সবই একই ধরনের প্রতিবেদন। জার্মানি, ইউরোজোন, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের সেপ্টেম্বরের পিএমআই (পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স) প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে৷ এটি লক্ষণীয় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব অভ্যন্তরীণ আইএসএম পিএমআই সূচক প্রকাশ করা হয়, যা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। এই সূচকগুলোর মার্কেট সেন্টিমেন্টকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা নেই, ট্রেডাররা মূলত ধারাবাহিকভাবে মার্কিন ডলার বিক্রি করে চলেছে। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এই সপ্তাহে খোলাখুলিভাবে বলেছেন যে মার্কিন অর্থনীতি ভাল অবস্থায় রয়েছে। যদি মার্কেটের ট্রেডাররা এই মন্তব্যের দিকে মনোযোগ দেয় তবে মার্কিন মুদ্রার ক্রমাগত দরপতন হবে না।

মৌলিক ইভেন্টের পর্যলোচনা:

সোমবারের মৌলিক ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রা কমিটির সদস্য এল্ডারসন এবং সিপোলোন এবং ফেডের প্রতিনিধি গুলসবি এবং বস্টিকের বক্তৃতা লক্ষণীয়। যাইহোক, যেহেতু ইতোমধ্যেই উভয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ঘোষণা করা হয়েছে, তাই এই কর্মকর্তারা মার্কেটে নতুন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন এমন সম্ভাবনা কম।

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে পারে, একটি কারেকশন শুরু হতে পারে বা স্থানীয় পর্যায়ে ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং করা হতে পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলতে পারে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা মার্কিন ডলার বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য সমস্ত মৌলিক কারণ ব্যবহার করছে। অতএব, PMI প্রতিবেদনের সম্ভাব্য স্বল্প মাত্রার প্রভাব বিবেচনা করার সাথে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা উচিত হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।