বৃহস্পতিবার বেশ অস্থিরতার সাথে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলমান ছিল। রাতের বেলায়, এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছিল, তারপর দ্বিগুণ মাত্রায় বেড়েছে, পরে আবার কমেছে এবং আরও একবার বেড়েছে। আমরা সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে মার্কেটের ট্রেডাররা বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যস্ত থাকবে। এছাড়াও, মধ্যাহ্নের দিকে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডও তাদের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করেছে, যা ইউরোর মূল্য এবং এটির অস্থিরতার মাত্রার উপর প্রভাব ফেলেছে। অতএব, মার্কেটের বাইরে থাকা বা শুধুমাত্র খুব শক্তিশালী এবং সুনির্দিষ্ট সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে মার্কেটে এন্ট্রি করাই সর্বোত্তম পদক্ষেপ হত।
সাধারণভাবে, ইউরোর মূল্য আবার বেড়েছে, এবং আবারও ডলারের দরপতন হয়েছে, যে বিষয়টি আর কাউকে অবাক করছে না। ফেডের বৈঠকের আগ পর্যন্ত কয়েকদিন ধরে ডলারের দরপতন সত্ত্বেও, যা মূলত ফেডের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশায় "আগাম ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে" হিসাবে বর্ণনা করা যেতে পারে, বৈঠকের পরেও ডলারের দরপতন হয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি যে কারণ যাই হোক না কেন যেকোনো পরিস্থিতিতেই ডলার দরপতন হচ্ছে। এটাও লক্ষণীয় যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সপ্তাহে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির সূত্রপাত করেছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টবৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথম সিগন্যালটি রাতে গঠিত হয়েছিল, তবে এটি কার্যকর সিগন্যাল ছিল না। 1.1132 লেভেলের কাছাকাছি দ্বিতীয় সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা একটি লং পজিশনের সাথে কার্যকর করা যেতে পারে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, 1.1132 লেভেলের আশেপাশে আরও দুটি সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, কিন্তু সেগুলো সুনির্দিষ্ট সিগন্যাল ছিল না। মার্কেটের ট্রেডাররা তখনও ফেডের বৈঠকের ফলাফলের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছিল, সুতরাং সমস্ত দিক বিবেচনা করে এই সিগন্যালগুলোকে অনিয়মিত "সুইং" হিসবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।
শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:এক ঘন্টায় টাইমফ্রেমে, এখনও এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠন করার সুযোগ রয়েছে, কিন্তু সেই সম্ভাবনাগুলো দ্রুত ম্লান হয়ে যাচ্ছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটে মাঝারি মেয়াদে সহজেই অযৌক্তিকভাবে ডলারের বিক্রি চলমান থাকতে পারে, কারণ কেউ জানে না যে ট্রেডাররা কতক্ষণ ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করবে এবং ইসিবির আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের বিষয়টি উপেক্ষা করবে। মার্কেটের ট্রেডাররা ফেডের সমস্ত সম্ভাব্য ভবিষ্যত সুদের হার হ্রাসের বিষয়টি আমলে নিয়ে চলেছে, এদিকে তারা ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে এমন কারণগুলো উপেক্ষা করছে।
শুক্রবার, আমরা অবশেষে বলতে পারি যে মার্কেট শান্ত হয়েছে, যার মানে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের অস্থিরতার মাত্রা কমে যাবে। মার্কেট এখন কেমন চলছে তা আমরা দেখতে পাব। যদি এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকে, তবে এটি এই ইঙ্গিত দেবে যে ট্রেডাররা শুধুমাত্র ডলার বিক্রির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
5M টাইম ফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1191, এবং 1.1275-1.1292। শুক্রবারের একমাত্র তাৎপর্যপূর্ণ ইভেন্ট হিসেবে ইসিবি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা রয়েছে। যাইহোক, যেহেতু গত সপ্তাহেই ইসিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই এই সপ্তাহে লাগার্ডের নতুন কিছু বলার সম্ভাবনা নেই বলে মনে হচ্ছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।