বুধবার, GBP/USD পেয়ারের দরপতন বজায় ছিল, যদিও সামান্য তারপরও এটি দরপতন। এবং যাদের মনে নেই তাদের বলতে চাই, 2024 সালে ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন বেশ বিরল ঘটনা ছিল, বিশেষ করে যখন মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারকে সমর্থন করছে না। শেষ কবে মার্কিন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের উপর ভিত্তি করে ডলারের মূল্য বেড়েছে তা আমরা মনে করতে পারছি না। যাইহোক, আমরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা প্রাথমিকভাবে অন্যান্য সমস্ত কারণ উপেক্ষা করে অন্তত 2024 সাল জুড়ে (যদি এর বেশি না হয়) ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক নীতির ভবিষ্যৎ নমনীয়করণের বিষয়টি দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। শীঘ্রই বা পরে, সেই মুহূর্তটি আসতে হবে যখন মার্কেটের ট্রেডাররা ভবিষ্যতের সমস্ত সুদের হার কমানোর ভিত্তিতে সম্পূর্ণরূপে এই পেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করেছিল। এর পরে, ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকার কোনও কারণ থাকবে না। আমরা বলছি না যে মুহূর্তটি এসেছে, তবে এটির সম্ভাবনা বিদ্যমান। যদি তাই হয়, ডলার এখন দীর্ঘমেয়াদে শক্তিশালী হতে পারে। অনেকটা মঙ্গলবারের মত বুধবার প্রকাশিত ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কার্যত কোন প্রভাব ফেলেনি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টবুধবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি কার্যকর সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে বাউন্স হয়ে যায়, তারপর মূল্য 1.3043 লেভেলে নেমে যায়, এটি ব্রেক করে যায় এবং অল্পের জন্য মূল্য 1.2993 লেভেলে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে, সকালে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করার কারণ পেয়েছিল। তারা মার্কিন সেশন চলাকালীন যেকোনো সময় সেগুলো ক্লোজ করে দিতে পারত, কারণ তারা এই শর্ট পজিশন থেকে মুনাফা করতে পেরেছে।
বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার বা অন্তত একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশন দেখতে পাওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, ডলারের দরপতন ঘটছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা কেনার এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। পাউন্ডের মূল্যের শুধুমাত্র একটি ছোটখাট বিয়ারিশ কারেকশন দেখা গিয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি। বহুল প্রত্যাশিত ফেডের বৈঠক আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে, এবং তার পরে, ডলারের মূল্যের মধ্য-মেয়াদী সম্ভাবনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
বৃহস্পতিবার, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3043 লেভেলের নিচে থাকতে পারে তাহলে দরপতনের বেশ ভালই সম্ভাবনা রয়েছে।
5M টাইম ফ্রেমের বিবেচনাযোগ্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, 1.3310। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে আমরা স্পষ্টভাবে দেখেছি যে মঙ্গলবার এবং বুধবার প্রকাশিত ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে কার্যত কোনই প্রভাব ফেলেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, উৎপাদক মূল্য সূচক এবং আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তবে এগুলো গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ সূচক৷
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।