১০ সেপ্টেম্বরে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে, যা এড়ানো যেত। যাইহোক, গত সপ্তাহে, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন অতিক্রম করেছে এবং ব্রিটিশ পাউন্ড অতিরিক্ত কেনা হয়েছে। অতএব, সমস্ত কারণ বিবেচনা করে বলা যায় ব্রিটিশ মুদ্রার কেবল দীর্ঘ এবং শক্তিশালী দরপতন হওয়া উচিত। তবুও, শুক্রবার এবং সোমবারে এই পেয়ার দরপতন অন্তত কিছু ইঙ্গিত প্রদর্শন করছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ার বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছে, কেনার নয়। এবং এটি ইদানীং খুব কমই ঘটেছে।

এই সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তবে সেগুলো বাজার পরিস্থিতিকে নাটকীয়ভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম। একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হল মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি, যেটি থেকে চমক আশা করা যায় এবং এটি মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। মনে করে দকেহুন যে প্রকৃত মুদ্রাস্ফীতির হার পূর্বাভাসের চেয়ে 0.1% কম হলে মার্কেটের ট্রেডাররা বেশ কয়েকবার ব্যাপকভাবে ডলারের সেল-অফ বা ব্যাপক বিক্রির সাথে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এটা স্পষ্ট যে ফেডারেল রিজার্ভ পরবর্তী বৈঠকে আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণ শুরু করবে, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও এই সম্ভাবনার প্রতি আস্থা রাখছে যে সুদের হার 0.5% কমানো হতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

সোমবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় সেশন চলাকালীন সময়ে, মূল্য 1.3102-1.3107 এরিয়ার নিচে কনসলিডেট হয়, যার পরে এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 30-40 পিপস কমে যায়। এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি, তবে নিম্নমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকতে পারে। অতএব, নতুন ট্রেডাররা গতকাল একটি শর্ট পজিশন ওপেন করে থাকতে পারে, এবং এটি সন্ধ্যায় ক্লোজ করা হযতে পারে বা কমপক্ষে মূল্য 1.3043 লেভেলে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করতে পারে।

মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করবেন:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করার বা অন্তত কিছুটা দরপতনের সম্মুখীন হওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, ডলারের দরপতন ঘটছে এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা কেনার এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। পাউন্ডের মূল্যের শুধুমাত্র একটি ছোটখাট বিয়ারিশ কারেকশন দেখা গিয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের পূর্ণাঙ্গ নিম্নমুখী প্রবণতার বিষয়ে কথা বলার সময় এখনও আসেনি।

মঙ্গলবার, এই পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে, তবে আমরা সম্ভবত ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখতে পাব। গত সপ্তাহে, ডলারের দর বৃদ্ধির কোনো নতুন কারণ ছিল না, যদিও মার্কিন গ্রিনব্যাক অত্যধিকভাবে বিক্রি করা হয়েছে।

5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145-1.3167, 1.3225, 1.3272, এবং 1.3310। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব, মজুরি এবং বেকারদের সংখ্যার পরিবর্তন সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলো শুধুমাত্র স্থানীয় পর্যায়ে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।