৬ সেপ্টেম্বরের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

আজ খুব বেশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নেই, কিন্তু যেগুলো আছে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই খুব গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, নতুন ট্রেডাররা আজকে বর্ধিত অস্থিরতার সাথে উভয় দিকেই এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের আশা করতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে, দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির তৃতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনটি গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ এবং মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া উস্কে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলো অনেক বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। আজ নন-ফার্ম পে-রোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন ডলারের মূল্যের মুভমেন্টকে দৃঢ়ভাবে প্রভাবিত করতে পারে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে এই পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতা নির্ধারণ করতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আবারও পূর্বাভাসের চেয়ে নিম্নমুখী হয়, তাহলে ১৮ সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার 0.5% কমার সম্ভাবনা আবার বাড়বে৷ এই বিষয়টি আরও কয়েক ধরে সপ্তাহ ডলার বিক্রি চালিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।

মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

শুক্রবারের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে ফেডের কর্মকর্তা ক্রিস্টোফার ওয়ালার এবং জোনাথন উইলিয়ামসের বক্তৃতা বেশ উল্লেখযোগ্য। এই বক্তৃতাগুলো মার্কিন শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পরে অনুষ্ঠিত হবে, তাই আজ আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের ব্যাপারে প্রাথমিক মন্তব্য পেতে পারি। স্বাভাবিকভাবেই, যদি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল দুর্বল হয়, তাহলে আমাদের ফেড কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ডোভিশ বা নমনীয় বক্তব্য আশা করা উচিত। এবং তারা যদি ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান করে তাহলে সেটি নতুন করে ডলারের দরপতন উস্কে দেবে।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকে যেতে পারে। দিনের প্রথমার্ধে দুর্বল মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে পারে এবং মূল্য পর্যায়ক্রমে উপরে এবং নিচে যেতে পারে। বেকারত্ব এবং শ্রম বাজার সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল কেমন হবে তা ভবিষ্যদ্বাণী করা অসম্ভব, তাই যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকুন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।