৩০ আগস্টে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও নিম্নগামী মুভমেন্ট বজায় ছিল, কিন্তু এটি এতটাই দুর্বল ছিল যে বিষয়টি আলোচনার যোগ্য নয়। সংক্ষেপে, ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যন্ত বেশি কেনা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়েছে। কোন কারেকশন ছাড়াই টানা তিন সপ্তাহ ধরে পাউন্ডের মূল্য বেড়েছে, এবং মার্কেটে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতির ভবিষ্যৎ নমনীয়করণের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে। সুতরাং, আমরা শুধুমাত্র বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন বিবেচনা করতে পারি। তবে এই পেয়ারের মূল্য এখনও ট্রেন্ড লাইনে পৌঁছাতে পারেনি। মূল্য এই লাইন ছাড়িয়ে যাবে কিনা তা জানা নেই। বৃহস্পতিবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন দ্বিতীয় অনুমানে আবার বিস্ময়করভাবে ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে, আমেরিকান অর্থনীতি 3% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, যা +2.8% বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। অতএব, আমরা মনে করি যে গতকাল ডলারের আরও শক্তিশালী হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এই প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের দাম বাড়লেও এর আগে বা পরে ডলারের দরপতন হলে আমরা কী করতে পারি?

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। 1.3210 লেভেলের কাছাকাছি প্রথম বাই সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত ছিল, কারণ মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.3241-এর খুব কাছাকাছি ছিল। যাইহোক, 1.3210 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত পরবর্তী সেল সিগন্যাল কার্যকর করা উচিত ছিল। পরবর্তীকালে, মূল্য 1.3145 এর লেভেলে পৌঁছেছে এবং এই সিগন্যাল ক্লোজ হয়ে গেছে। এখানে, প্রায় 40 পিপসের লাভের জন্য শর্ট পজিশন ক্লোজ করা উচিত ছিল এবং একটি কারেকটিভ রিবাউন্ডের প্রত্যাশায় লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। এই ট্রেড থেকে আরও 10-20 পিপস উপার্জন করা যেতে পারে।

শুক্রবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান রাখার ভালো সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের মূল্য কমে গেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয়ের এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা প্রায়ই পাউন্ডের জন্য যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। কোনো খবর না থাকলেও মার্কেটে এই পেয়ারের ক্রয় অব্যাহত থাকতে পারে।

শুক্রবার, এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী হতে পারে, কারণ ট্রেন্ড লাইনটি এখন চুম্বক হিসাবে কাজ করছে যা মূল্যকে আকর্ষণ করছে৷ তবে এই পেয়ারের দরপতনের সম্ভাবনা বেশ কম।

5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145, 1.3210, 1.3241, 1.3272, এবং 1.331।. শুক্রবার, যুক্তরাজ্যে কোনও আকর্ষণীয় প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে PCE সূচক এবং কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। অতএব, বিকেলে, এই পেয়ারের মূল্য বিপরীতমুখী হতে পারে এবং অস্থিরতার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।