বুধবার, GBP/USD পেয়ারেরও দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দরপতন দেখা গেছে, কিন্তু এই দরপতনের মাত্রা এতটাই দুর্বল যে এমনকি মূল্য ট্রেন্ড লাইনেও পৌঁছায়নি। এর পরিবর্তে, বর্তমানে চার্টে এক ধরনের "হেড অ্যান্ড শোল্ডার" প্যাটার্ন তৈরি হচ্ছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3210 লেভেল থেকে বাউন্স করে, তাহলে আমরা "দ্বিতীয় শোল্ডার" পেতে পারি এবং আরেকবার ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতনের আশা করতে পারি। সত্যি কথা বলতে কি, অনেকদিন ধরে কোনো ভিত্তি বা কারণ ছাড়াই পাউন্ডের দরপতন হওয়া উচিত- কারণ 2024 সালে পাউন্ডের মূল্য কোন কারণ ছাড়াই দৃঢ়ভাবে বেড়েছে। তবে, ঠিক কখন এই ধরনের মুভমেন্ট শুরু হবে তা বলা অসম্ভব। মার্কেটে ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কমানোর প্রভাব অব্যাহত রাখতে পারে। যদি আগামী সপ্তাহে প্রকাশিতব্য মার্কিন শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল আবার দুর্বল হয়, তাহলে এটি অনুমান করা যেতে পারে যে ফেড 18 সেপ্টেম্বর সুদের হার 0.5% কমিয়ে দেবে। এবং এটি আদতেও ঘটবে কিনা তা বিবেচ্য নয়। এবং মুদ্রাস্ফীতি সূচক এমন মাত্রায় সুদের হার কমানোর সুযোগ দেয় কিনা সেটাও বিবেচ্য নয়।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, বুধবার বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় ট্রেডিং সিগন্যাল হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.3241 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয় এবং তারপরে নিচে থেকে এই লেভেলে তিনবার বাউন্স হয়। অতএব, নতুন ট্রেডাররা 1.3210 লেভেলের নিচে লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন খুলতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, আমরা মাঝে মাঝে আরেকবার পাউন্ডের দর বৃদ্ধি পেতে দেখেছি, যার কারণে মূল্য 1.3210 লেভেলের উপরে স্থির হয়েছে। ফলে শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে হয়েছে। আধা ঘন্টার মধ্যে, আরেকটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, যা কার্যকর করা যেতে পারে এবং সামান্য মুনাফা অর্জন করা যেতে পারে।
বৃহস্পতিবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান রাখার ভালো সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের মূল্য কমে গেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয়ের এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা প্রায়ই পাউন্ডের জন্য যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। কোনো খবর না থাকলেও মার্কেটে এই পেয়ারের ক্রয় অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার, এই পেয়ারের মূল্য কিছুটা কমে যেতে পারে, তবে মূল্যের 1.3210 লেভেলের নিচে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এই লেভেল থেকে একটি বাউন্স হলে সেটি নতুন করে শর্ট পজিশন খোলার অনুমতি দেবে, যার লক্ষ্যমাত্রা হল ট্রেন্ড লাইন।
5M টাইমফ্রেমে মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145, 1.3210, 1.3241, 1.3272, 1.3310.। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোনও আকর্ষণীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে না, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে। ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনের প্রথম অনুমানের ফলাফল উপেক্ষা করেছিল, যেটিতে প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় দ্বিগুণ উচ্চ মান দেখা গিয়েছিল, তাই আজ, শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত ভিত্তির উপর ভিত্তি করে ডলারের দর বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।