২৮ আগস্টে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

মঙ্গলবার আবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গেছে। এই ধরনের মুভমেন্টের কোন ভিত্তি ছিল না। অবশ্যই, ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের বিবৃতি সেপ্টেম্বরে সম্ভাব্যভাবে সুদের হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে নতুন করে ডলার বিক্রির ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে, তবে মঙ্গলবার ইউরোর মূল্যও বৃদ্ধি পায়নি। সবকিছু সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা পরিস্থিতি নির্বিশেষে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্রয় অব্যাহত রেখেছে। বর্তমান মুভমেন্টের কোন যৌক্তিকতা নেই, কিন্তু একই সাথে, আমরা একটি শক্তিশালী ও প্রায় নিরবচ্ছিন্ন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যক্ষ করছি। এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন থেকে অনেক দূরে রয়েছে, তাই প্রায় কোন কারেকশনই এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটাতে পারবে না। যদিও, এই পেয়ারের মূল্য প্রতিদিন বাড়তে থাকলে আমরা কী ধরনের কারেকশন নিয়ে আলোচনা করতে পারি?

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

মঙ্গলবার, 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য 1.3210 এবং 1.3241 এর লেভেলের মধ্যে আটকা পড়েছিল, যার দূরত্ব মাত্র 31 পিপস। এই লেভেলগুলোর মধ্যে লেনদেন খুব সামান্যই স্পষ্টি ছিল, এবং সারা দিন ধরে প্রতিটি লেভেলে মূল্যের বাউন্স হয়েছে। অতএব, মঙ্গলবার একটিও শক্তিশালী বা কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি।

বুধবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান রাখার ভালো সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের মূল্য কমে গেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয়ের এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা প্রায়ই পাউন্ডের জন্য যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। কোনো খবর না থাকলেও মার্কেটে এই পেয়ারের ক্রয় অব্যাহত থাকতে পারে।

বুধবার, এই পেয়ারের মূল্য কিছুটা কমে যেতে পারে, তবে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শীঘ্রই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যাইহোক, আমরা এই সময়ে একটি উল্লেখযোগ্য কারেকশনের আশা করব না। সোমবার মূল্য 1.3210 এর লেভেল থেকে বাউন্স করেছে কিন্তু নিম্নমুখী হওয়ার প্রবণতা দেখায়নি।

5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145, 1.3210, 1.3241, 1.3272, 1.3310। বুধবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও আকর্ষণীয় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অতএব, মূল্য 1.3210 লেভেলের নিচে থাকলে, আপনি একটি মন্থর নিম্নগামী কারেকশনের আশা করতে পারেন এবং মূল্য উল্লিখিত লেভেলের উপরে থাকলে, ধীরভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতার আশা করতে পারেন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।