শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। সারাদিন ধরে, দ্রুত, সহজভাবে এবং অবাধে মার্কিন ডলারের দাম আরও 130 পিপ কমেছে। সেই সময়ে যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক ইভেন্ট না থাকা সত্ত্বেও ভোরে মার্কিন মুদ্রার দরপতন শুরু হয়। জ্যাকসন হোলে ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের আসন্ন বক্তৃতার প্রত্যাশায় মার্কেটের ট্রেডাররা কেবলই ডলার বিক্রি করছিল। আমরা আশা করেছিলাম যে ট্রেডাররা পাওয়েলের ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থানের প্রতি আগে থেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে এবং শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্য বিপরীতমুখী হবে। তবে ট্রেডাররা যেকোনও সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এই পেয়ার ক্রয় করছে। কোন বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বা ডলারের দৈনিক দরপতনের জন্য কোন কারণ আছে কিনা তা বিবেচ্য নয়৷ এ সবকিছু অপ্রাসঙ্গিক। তাই এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে মনে হচ্ছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতা শুরু থেকেই খুব একটা আকর্ষণীয় ছিল না। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড যে আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করছে তা আরও কম প্রাসঙ্গিক। ডলারকে ঘিরে এবং সেপ্টেম্বরে ফেডের সুদের হার কমানো নিয়ে মার্কেটে বেশিরভাগ কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, শুক্রবার 1.3102-1.3107 এরিয়ার আশেপাশে দুটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রথম বাই সিগন্যাল তৈরি হওয়ার পরে, এই পেয়ারের মূল্য 20 পয়েন্ট বাড়তে ব্যর্থ হয়েছিল, তাই দ্বিতীয় সিগন্যাল তৈরি হওয়ার সময়, নতুন ব্যবসায়ীরা মার্কেটে থাকতে পারে। যেহেতু পাওয়েলের বক্তৃতা প্রায় একই সময়ে শুরু হয়েছিল, তাই 1.3102-1.3107 এরিয়ার সমান বা তার ঠিক নিচে ব্রেক করার জন্য একটি স্টপ লস সেট করা বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে, যা ঝুঁকি কমিয়েছিল । পরবর্তীকালে, মূল্য 1.3210-এ উন্নীত হয়, যেখান থেকে মুনাফা আদায় করা যেতে পারত।
সোমবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান রাখার ভালো সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের মূল্য কমে গেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয়ের এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা প্রায়ই পাউন্ডের জন্য যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে।
সোমবার, এই পেয়ারের সামান্য দরপতন হতে পারে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 1.3210 লেভেল থেকে ট্রেড করা যেতে পারে, যেখান থেকে শুক্রবার মূল্য দুবার বাউন্স করেছে।
5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145, 1.3210। সোমবার, যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত না থাকলেও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে টেকসই পণ্যের অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে যা বাজারের গতিশীলতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করতে পারে। তা সত্ত্বেও বাজারে ডলারের লাগামহীন বিক্রির বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।