শুক্রবারের জন্য কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অতএব, জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়াম পর্যন্ত, মার্কেটে প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না। এই সময়ের মধ্যে, আমরা সম্ভবত গতকালের মতো ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের একই ধরনের মুভমেন্ট দেখতে পাব। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় বিরাজ করছে, এবং এই মুহূর্তে প্রবণতা বিপরীতমুখী হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের আজকের বক্তৃতার প্রত্যাশায় পুরো সপ্তাহ জুড়ে মার্কিন ডলারের মূল্য কমছে।
মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে পাওয়েল এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির বক্তৃতার দিকে দৃষ্টিপাত করা উচিত। পাওয়েল এবং বেইলি কী নিয়ে আলোচনা করবেন তা আগে থেকে বলা অসম্ভব। কেবল অনুমান করা যেতে পারে যে উভয়েই ডোভিশ অবস্থান গ্রহণ করবে। যাইহোক, বেইলির তুলনায় পাওয়েলের কাছ থেকে অধিক ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের আশা করার সম্ভাবনা কম। আমরা ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছি যে মার্কিন অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে, সেইসাথে দেশটির শ্রমবাজার পরিস্থিতিও খুব বেশি খারাপ নয়য়। দেশটির বেকারত্বের হার নিয়ে খুব বেশি আশংকার কিছু নেই। ফেড সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমাতে পারে, তবে বছরের শেষ পর্যন্ত প্রতিটি বৈঠকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা নেই। এই বিষয়ে মার্কেটের ট্রেডারদের প্রত্যাশা আবার অত্যধিক উচ্চ, এবং এই প্রত্যাশার উপর ভিত্তি করে, ডলারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে।
সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের সামান্য দরপতন হতে পারে। তবে, পাওয়েল এবং বেইলির বক্তৃতার প্রতি মার্কেটের ট্রেডাররা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাবে তা অনুমান করা অসম্ভব। অতএব, সন্ধ্যার মধ্যে যেকোন পরিস্থিতির ব্যাপারে প্রস্তুত হওয়া উচিত। পাওয়েলের বক্তৃতায় ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা ইতোমধ্যে মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করে থাকতে পারে, কারণ সারা সপ্তাহ জুড়ে ডলারের দাম কমছে। এই ক্ষেত্রে, আমরা আজ বহুল প্রতীক্ষিত ডলারের মূল্য বৃদ্ধি দেখতে পারি। তবে এটা শুধুই একটি ধারণা যা আদতেও ঘটবে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।