২৩ আগস্টে কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং লেনদেন বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ার সামান্য দরপতনের সম্মুখীন হয়েছে, কিন্তু চার্টে এই দরপতন খুব কমই লক্ষণীয় ছিল। এইভাবে, গতকাল আরেকবার ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য সামান্য কারেকশনও করেনি, এবং ডলারের দর বৃদ্ধি পায়নি। প্রশ্নাতীতভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। গতকাল, যুক্তরাজ্যে পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতের ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচক প্রকাশ করা হয়েছে, যেটির ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক ছিল। এটা কি আবার এই পেয়ার ক্রয় করার কারণ প্রদান করেছে?

বিপরীতভাবে, মার্কিন ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচকের ফলাফল মিশ্র ছিল: উৎপাদন খাতের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ছিল, যখন পরিষেবা খাতের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী ছিল। ফলে, মার্কেটে মার্কিন ডলার না কেনার আরেকটি কারণ ছিল। বর্তমানে, এমনকি প্রযুক্তিগত কারণেও এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী কারেকশন করতে পারছে না। যদি ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল আজকে আরও ডোভিশ অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত দেন, তাহলে মার্কিন ডলারের মূল্য আরও কমতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

বৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। নতুন করে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির কোন অনুঘটক ছিল না, এবং বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ার বিক্রি করতে চাচ্ছেন না। অতএব, আমরা সারাদিন ধরে এই পেয়ারের মূল্যের অনিয়মিত মুভমেন্ট দেখেছি যা সাধারণভাবে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মতো মনে হচ্ছে। আগের দিন 1.3102-1.3107 এরিয়া থেকে কার্যকর বাউন্স হওয়া সত্ত্বেও মূল্য প্রযুক্তিগত স্তরকে উপেক্ষা করছে।

শুক্রবার কীভাবে ট্রেড করতে হবে:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, বিশ্বব্যাপী GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা চলমান রাখার ভালো সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে স্থানীয় পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের মূল্য কমে গেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয়ের এবং ডলার বিক্রি করার প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা প্রায়ই পাউন্ডের জন্য যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিবাচক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এই পেয়ারের মূল্যের শুধুমাত্র ছোটখাটো নিম্নগামী কারেকশন ঘটছে এবং এমনকি সবক্ষেত্রে কারেকশনও হয় না।

শুক্রবার, এই পেয়ারের সামান্য দরপতন হতে পারে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সন্ধ্যায়, এই পেয়ারের মূল্যের বর্ধিত অস্থিরতা এবং যেকোনো দিকে মুভমেন্টের আশা করা যেতে পারে, কারণ জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে পাওয়েল কী বলবেন তা কেউ জানে না।

5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 11.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145, এবং 1.3210। শুক্রবার জ্যাকসন হোল সিম্পোজিয়ামে অ্যান্ড্রু বেইলি এবং পাওয়েল বক্তৃতা দেবেন। এই দুটি ইভেন্ট মার্কেটে উল্লেখযোগ্য প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।