২৩ আগস্টে কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও লেনদেনের বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্য কিছুটা নিম্নমুখী কারেকশন করেছে, কিন্তু এই মুভমেন্ট এতটাই দুর্বল ছিল যে এটি এখনও ডলারের জন্য কোন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি। আমরা গতকাল যা দেখেছি তা ছিল একটি ছোটখাট পুলব্যাক। এই পেয়ারের মূল্য আজ একই ধরনের পুলব্যাক দেখাতে পারে এবং ট্রেন্ড লাইনের উপরে অবস্থান করতে পারে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের প্রবণতার বিয়ারিশে পরিণত হওয়ার কোন লক্ষণ এখনো নেই।

গতকাল, ইউরোজোন, জার্মানি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য পরিষেবা এবং উৎপাদন খাতে ব্যবসায়িক কার্যকলাপের সূচক প্রকাশিত হয়েছিল৷ এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল ডলার বা ইউরোর জন্য ইতিবাচক বা নেতিবাচক কোনটিই ছিল না। ইইউ থেকে প্রকাশিত সকালের প্রতিবেদনের প্রভাবে ইউরোর মূল্যের সামান্য দরপতন হয়েছে, তবে মার্কেটে সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের ক্রয় অব্যাহত রয়েছে। অতএব, আজ দ্রুতই আবার এই পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে. তাছাড়া, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল আজ সন্ধ্যায় বক্তব্য দেবেন। এই ইভেন্টটি ইতোমধ্যেই মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করে থাকতে পারে, তবে নতুন করে ডলার বিক্রির জন্য ট্রেডারদের এটি ব্যবহার করার সম্ভাবনা রয়েছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

বৃহস্পতিবার ৫ মিনিটের চার্টে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট খুব একটা সুবিধাজনক ছিল না। বর্তমানে মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ার কেনা ছাড়া আর কি করতে পারে সেটা মনে হয় জানে না। এই পেয়ারের মূল্য প্রাথমিকভাবে 1.1132 লেভেল থেকে বাউন্স করেছিল, তারপরে মূল্য পুরোপুরিভাবে ফ্ল্যাট থাকা অবস্থায় পাঁচ ঘন্টা অতিবাহিত হয়েছিল এবং পরে মূল্য এই লেভেলটি অতিক্রম করেছিল। এইভাবে, প্রথম বাই সিগন্যালটি ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছিল, যখন দ্বিতীয়টি সঠিক ছিল।

শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে যা একটি ট্রেন্ড লাইন দ্বারা সমর্থিত। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি না। যাইহোক, ট্রেডাররা আবার এই ধরনের প্রবণতা প্রদর্শন করছে যে তারা প্রায় যেকোনো প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আতংকিত হয়ে ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত রয়েছে। ট্রেন্ডলাইনের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার পরে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা দরপতনের ধারাবাহিকতার আশা করতে পারেন, কারণ এই পেয়ারের মূল্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়তে পারে না। নিচে থেকে 1.1132 লেভেল থেকে একটি বাউন্সের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন খোলার সুযোগ পাওয়া যেতে পারে।

5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1184, 1.1275-1.1292। শুক্রবার, ইউরোজোনে কোন বড় ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যখন ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বক্তৃতা দেবেন। পাওয়েল এর বক্তৃতা সহজেই নতুন করে ডলারের পতন ঘটাতে পারে যদি মার্কেটের ট্রেডাররা সন্দেহ করে যে তার বক্তৃতায় এ সপ্তাহে তিনি ইতোমধ্যে যা প্রকাশ করেছেন তার চেয়ে কিছুটা বেশি ডোভিশ অবস্থান গ্রহণ করেছেন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।