EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২০ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সোমবার নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ইউরোর আরও মূল্য বৃদ্ধির কোন কারণ ছিল না। সারাদিনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়নি এবং কোনো উল্লেখযোগ্য বক্তৃতাও ছিলনা। হ্যাঁ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল রিজার্ভের কয়েকজন প্রতিনিধি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, কিন্তু গত তিন সপ্তাহ ধরে তারা প্রায় একই কথা বলে আসছে: মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্ভবত সেপ্টেম্বরে মূল সুদের হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করবে। এইভাবে, যদি মুদ্রানীতির নমনীয়করণ বিষয়ক নতুন বিবৃতি ডলারের দরপতনকে সূত্রপাত ঘটায়, তবে এটি স্পষ্ট যে মার্কেটের ট্রেডাররা আগের মতোই ডলার বিক্রি করার জন্য কোনো আনুষ্ঠানিক কারণ ব্যবহার করছে। যদি তা না হয়ে থাকে, তাহলে ট্রেডাররা কোন কারণ ছাড়াই মার্কিন মুদ্রা বিক্রি করছে।

প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে এবং অনির্দিষ্টকালের জন্য ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। মার্কেটের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্ট বর্তমানে স্পষ্ট, বর্তমানে তাদের ডলার কেনার কোনো ইচ্ছা নেই। ফেডের প্রধান জেরোম পাওয়েল শুক্রবার বক্তব্য দেবেন, এবং এতে কোন সন্দেহ নেই যে ট্রেডাররা ডলার বিক্রি করার জন্য তার বক্তৃতায় ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণের ইঙ্গিত খুঁজবে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

সোমবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, মূল্যের 1.1043 লেভেলের আশেপাশে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, দিনের শেষে মূল্য 1.1048 এর লেভেলে পৌঁছেছিল এবং তারপর এই লেভেল অতিক্রম করেছিল। ট্রেডাররা সামান্য নিচের দিকে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন ঘটাতে ব্যর্থ হওয়ায় শর্ট পজিশন থেকে কোন লাভ হয়নি। লং পজিশনটি লাভজনক ছিল, এবং মূল্য সন্ধ্যার কাছাকাছি 1.1091 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে যা প্রতি ঘণ্টার চার্টে একটি ট্রেন্ড লাইন দ্বারা সমর্থিত। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের আরও ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের আশা করছি না। যাইহোক, ট্রেডাররা আবার এই ধরনের প্রবণতা প্রদর্শন করছে যে তারা প্রায় যেকোনো প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আতংকিত হয়ে ডলার বিক্রি করতে প্রস্তুত রয়েছে। আর কোনো ইভেন্ট না থাকলে মার্কেটে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডলার বিক্রি করাই হয়ে থাকে। অতএব, বর্তমানে প্রযুক্তিগত চিত্র উপেক্ষা করা উচিত নয়। ট্রেন্ডলাইনের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হওয়ার পরে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।

মঙ্গলবার, যদি এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসলিডেট হয় তাহলে নতুন ট্রেডাররা এই পেয়ারের দরপতনের প্রত্যাশা করতে পারে। এই ক্ষেত্রে, ইউরোর মূল্য 1.0888 এ নেমে যেতে পারে। অন্যথায়, 1.1132 এর লক্ষ্যমাত্রায় এই পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে।

5M টাইম ফ্রেমে বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1048, 1.1091, 1.1132, 1.1184। মঙ্গলবার, ইউরোজোন বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। ইইউ-এর জুলাইয়ের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমানের প্রভাবে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।