বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট ধরে রাখতে পারেনি, যা কিছুটা আশ্চর্যজনক ছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডাররা সাধারণত এটির দর বৃদ্ধি প্রদর্শনের যেকোন সুযোগ গ্রহণ করে। তবে যুক্তরাজ্যে গতকালের মূল্যস্ফীতির প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে নিম্নমুখী ছিল। অন্য কথায়, দেশটির ভোক্তা মূল্য সূচক বেড়েছে, কিন্তু ট্রেডারদের প্রত্যাশার চেয়ে কম বেড়েছে। ফলস্বরূপ, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের পরবর্তী বৈঠকে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কিছুটা বেড়ে গেছে, যা ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য প্রতিকূল বিষয় হিসেবে কাজ করছে। বিকেলে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 3% থেকে 2.9%-এ নেমে এসেছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে, 2.9% মুদ্রাস্ফীতি 3% থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা নয়। এই ধরনের ফলাফল ফেডারেল রিজার্ভকে আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণ শুরু করার জন্য শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করে না। তা সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও মার্কিন ডলার বিক্রি করতে ছুটে এসেছে এবং শুধুমাত্র 1.2860-এর উপরে এই পেয়ারের মূল্যের ক্লোজিং এড়াতে পেরেছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমের মধ্যে, বুধবার দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, কিন্তু উভয় সিগন্যালই বেশ অস্পষ্ট ছিল। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক অস্থিরতার মাত্রা ছিল মাত্র 49 পিপস, এবং এত কম অস্থিরতার মধ্যে, কার্যকর সিগন্যাল এবং ভাল লাভের আশা করা অসম্ভব। এই পেয়ারের মূল্য 1.2848-1.2860 এরিয়া থেকে দুবার বাউন্স করেছে। 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই প্রথম বাউন্সটি এই পেয়ারের দরপতনের দিকে নিয়ে যায়, তাই সেই সিগন্যালের ভিত্তিতে মার্কেটে এন্ট্রির সুযোগ ছিল না। দ্বিতীয় সিগন্যালটি সন্ধ্যায় তৈরি হয়েছিল যখন মার্কেটে এন্ট্রি না করে মার্কেট ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় হয়ে এসেছিল।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের দরপতন ঘটেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা কেনার জন্য প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা পাউন্ডের যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। গতকাল, নতুন করে ডলারের দরপতনের আশা করা হলেও অলৌকিকভাবে এমনটি ঘটেনি।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2848-1.2860 বা 1.2791-1.2798 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি থাকবে, তাই এটির প্রতি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
5M টাইমফ্রেমে বিবেচনাযোগ্য মূল লেভেলগুলো হল 1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রয়, শিল্প উৎপাদন এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন করা হবে। যদিও এই প্রতিবেদনগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে মোট পাঁচটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, তাই সারাদিন ধরে এই প্রতিবেদনগুলো GBP/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।