মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ডলারের আরও দরপতন ঘটাতে পারে

গতকালের উৎপাদক মূল্য সূচক ইতোমধ্যেই এই ইঙ্গিত দিয়েছে যে কীভাবে ট্রেডাররা প্রতিবেদনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এবং যদি আজকের মাসিক মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচকে প্রতিবেদনে গত মাসের মত অনুরূপ আরেকটি পরিমিত বৃদ্ধি দেখা যায় তাহলে ডলারের কী হতে পারে সে বিষয়েও স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এটি অবশ্যই চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশাকে ব্যাপকভাবে শক্তিশালী করবে।

শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরো দ্বারা আজ প্রকাশিত তথ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেচগে যে ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) এবং মূল CPI উভয়ই, যা খাদ্য এবং জ্বালানির মূল্য বাদ দিয়ে বিবেচনা করা হয়, এই বছরের জুলাই মাসে 0.2% বেড়েছে। এই ধরনের পরিসংখ্যান 2021 সালের গোড়ার দিকের পর প্রান্তিক ভিত্তিতে মূল মুদ্রাস্ফীতির সবচেয়ে স্বল্পমাত্রার বৃদ্ধি চিহ্নিত করবে। অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন যে মূলত বাড়িভাড়া বৃদ্ধিতে বহুল-প্রত্যাশিত মন্দা, ব্যবহৃত গাড়ির দাম হ্রাস এবং পরিষেবাগুলোর মূল্যছাড়ের কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুলাইয়ের সিপিআই-এর দুর্বল বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। .

বাড়িভাড়া অদূর ভবিষ্যতে প্রাক-মহামারী স্তরে ফিরে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যে বাড়িভাড়ায় মন্দার প্রবণতা আগামী মাসগুলোতে অব্যাহত থাকবে, যা ভোক্তা মূল্য সূচকের সামগ্রিক বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করবে। বাড়িভাড়ার খরচ হল এই সূচকের সবচেয়ে বড় শ্রেণী, তাই ভবিষ্যতের প্রবণতা নির্ধারণে এগুলোর উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে।

সূচকে ব্যবহৃত গাড়ির মূল্য হ্রাস জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতি হ্রাসে অবদান রাখতে পারে, যা মূল পণ্যমূল্যের বিস্তৃত মন্দা প্রসারিত করতে সহায়তা করে। শিল্প বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন, ব্যবহৃত গাড়ির নিলামের দাম এখন এক বছর আগের তুলনায় 26% কমেছে, যেখানে CPI-এর ক্ষেত্রে গণনাকৃত ব্যবহৃত গাড়ির দাম 18% কমেছে। নতুন গাড়ির দামও কিছুটা কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মুদ্রাস্ফীতির ইতিবাচক নিম্নগামী প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, মার্কিন বন্ড মার্কেট আরও উর্ধ্বমুখী পারে, যা মার্কিন ডলারের আরও দরপতনের দিকে পরিচালিত করে। উপরে উল্লেখ করা হয়েছে জুলাই মাসে উৎপাদক মূল্য সূচক সংক্রান্ত গতকালের প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে কম ছিল। এটি মার্কেটে কিছুটা অস্থিরতা সৃষ্টি করেছিল। অনেক ট্রেডার এখন মুদ্রাস্ফীতির দুর্বল পরিসংখ্যানের আশায় ফেডারেল রিজার্ভের আরও দৃঢ় অবস্থানের প্রত্যাশা করছেন, ফলে ফেড এই বছরের সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে সুদের হার কমাতে শুরু করতে পারে।

EUR/USD-এর বর্তমান প্রযুক্তিগত পূর্বাভাস অনুযায়ী, ক্রেতাদের মূল্যকে 1.1010 এর লেভেলে পুনরুদ্ধার করার উপর দৃষ্টিপাত করতে হবে। শুধুমাত্র তখনই তারা মূল্যকে 1.1035 এর লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে। সেখান থেকে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1080-এ উঠতে পারে, কিন্তু প্রধান ট্রেডারদের সমর্থন ছাড়া এটি অর্জন করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.1110 এর লেভেল। এই পেয়ারের দরপতনের ক্ষেত্রে, আমি 1.0975 লেভেলের আশেপাশে বড় ক্রেতাদের কাছ থেকে গুরুতর পদক্ষেপের আশা করছি। যদি সেখানে কোন সমর্থন না থাকে, তাহলে মূল্য 1.0940-এর লেভেল পুনরায় টেস্ট করবে সেই অপেক্ষা করা বা 1.0910-এ লং পজিশন খোলার কথা বিবেচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

GBP/USD-এর ক্ষেত্রে, পাউন্ড ক্রেতাদের মূল্যকে 1.2850-এর নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেলে পুনরুদ্ধার করতে হবে। শুধুমাত্র এটি তাদেরকে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.2890-এর লেভেলে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার সুযোগ দেবে, যার উপরে ব্রেকআউট করা বেশ কঠিন হবে। চূড়ান্ত লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2910 এরিয়া, যার পরে মূল্য 1.2940 এর দিকে আরও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি প্রদর্শন করতে পারে। এই পেয়ারের দরপতনের ক্ষেত্রে, বিক্রেতার মূল্যের 1.2820 এর লেভেলের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করবে। যদি তারা সফল হয়, তাহলে মূল্য এই রেঞ্জটি ব্রেক করলে সেটি ক্রেতাদের মারাত্মক ধাক্কা দেবে এবং GBP/USD পেয়ারের মূল্যকে 1.2780 এর নিম্নে পৌঁছে দেবে, যার পরে 1.2730-এর দিকে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।