GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৪ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের উত্থানের সূত্রপাত ঘটানো মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচকের পাশাপাশি, যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, জবলেস ক্লেইমস এবং মজুরি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। যুক্তরাজ্যের বেকারত্বের হার অপ্রত্যাশিতভাবে 4.4% থেকে হ্রাস পেয়ে 4.2% এ নেমে এসেছে, যখন ট্রেডাররা আশা করেছিল এই সূচক বৃদ্ধি পেয়ে 4.5%-এ পৌঁছাবে। এই প্রতিবেদনের পরে, এই বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে যে জবলেস ক্লেইমসের পরিসংখ্যান নয় বার পূর্বাভাস অতিক্রম করেছে এবং মজুরি বৃদ্ধি 1%-এরও বেশি হ্রাস পেয়েছে (যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের দ্বারা দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমানোর সময়সীমার কাছাকাছি ঘটেছে)। উল্লেখ্য যে 2024 সালের প্রবণতা অনুসারে, ট্রেডাররা ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে এমন সকল প্রতিবেদন উপেক্ষা করে এবং শুধুমাত্র পাউন্ডকে সমর্থনকারী প্রতিবেদনের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানায়।

আমরা ইতোমধ্যে উৎপাদক মূল্য সূচকের কথা উল্লেখ করেছি। এই সূচকের 0.1%-এর প্রত্যাশিত হ্রাস ডলারের দরপতনের দিকে পরিচালিত করে। আজ, যদি মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি কমে 2.9% এ নেমে যায়, তাহলে আমরা নতুন করে মার্কিন মুদ্রার দরপতনের আশা করতে পারি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের "উল্লেখযোগ্য" মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। ট্রেডাররা কেবলমাত্র ডলারকে সমর্থন করে এমন সমস্ত প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণরূপে উপেক্ষাই করেনি, বরং তারা 1.2791-1.2798-এর গুরুত্বপূর্ণ এরিয়ার আশেপাশে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন শুরু করেছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই এরিয়ায়র নিচে বা উপরে কনসলিডেশনকে সিগন্যাল হিসাবে বিবেচনা করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে, মূল্য দৃঢ়ভাবে এই এরিয়ার উপরে অবস্থান গ্রহণ করেছে এবং এখান থেকে উপরের দিকে বাউন্স করেছে। তাই এক্ষেত্রে লং পজিশন ওপেন করা যেত। দিনের শেষে, মূল্য 1.2848-1.2860 এর পরবর্তী এরিয়াতে পৌঁছেছে, যেখানে টেক প্রফিট সেট করা উচিত ছিল।

বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের দরপতন ঘটেছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রা কেনার জন্য প্রতিটি সুযোগ ব্যবহার করে চলেছে। তারা পাউন্ডের যেকোনো প্রতিকূল প্রতিবেদন উপেক্ষা করছে। আজ, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনে পূর্বাভাসে চেয়ে তীব্র পতন দেখা গেলে নতুন করে ডলারের দরপতনের আশা করা যেতে পারে।

বুধবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2848-1.2860 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারে। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। অতএব, এই এরিয়ার নিচে মূল্যের কনসলিডেশনের সম্ভাবনা রয়েছে। মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে, নতুন করে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2547, 1.2605–1.2633, 1.2684–1.2693, 1.2748, 1.2791–1.2798, 1.2848–1.2860, 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3102–1.3107, এবং 1.3145। বুধবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। অতএব, আজ আবারও এই পেয়ারের মূল্যের বেশ শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।